সালেক সুফী
৯ উইকেটের বিশাল জয় দিয়ে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ওডিআই জয়ের মাইলফলক স্থাপন করে ধবল ধোলাই এড়ালো। হতে পারে স্বাগতিক দলটি প্রথম একাদশের ৭ জন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে খর্বশক্তির ছিল। কিন্তু আমি কিছুতেই বাংলাদেশের কৃতিত্বপূর্ণ জয়কে কটাক্ষ করবো না।
টস জয় করে নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে স্বাগতিকদের ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল শান্ত। বাংলাদেশের পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করে ব্লাকক্যাপ্স ইনিংস ৯৮ রানে গুটিয়ে দেয়। উইকেটে পেস, বাউন্স ছিল। তানজিম সাকিব (৩/১৪), সৌম্য সরকার (৩/১৮), শরিফুল ইসলাম (৩/২২) উইকেটের সহায়তা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপসদের কোণঠাসা করে রেখেছিলো।
জবাবে ব্যাটিং করতে এসে শান্ত (৫১*) আর এনামুল বিজয়ের (৩৭) কুশলী ব্যাটিং বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের বিশাল জয় এনে দেয়। ডুনেডিন এবং নেলসনে দুটি ম্যাচ জিতে নিউ জিল্যান্ড এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছিল। সিরিজের ফলাফল নিউ জিল্যান্ডের অনুকূলে ২-১।
বিশ্বকাপ বিতর্ক আর ভরাডুবির পর বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে। দলের মধ্যে ভালো খেলার তাগিদ দেখা যাচ্ছে। আজ পেসি, বাউন্সি উইকেটের সহায়তা নিয়ে তানজিম সাকিব, শরিফুল, সৌম্য, মুস্তাফিজ যে ভাবে ব্ল্যাক ক্যাপসদের গুড়িয়ে দিলো তার কৃতিত্ব কিছুটা হলেও অ্যালেন ডোনাল্ডের প্রাপ্য। এভাবে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে ম্যাচ জিতবে।
যে উইকেটে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেনি, সেখানে বাংলাদেশের শান্ত (৫১*) এবং বিজয় (৩৭) মারকুটে ব্যাটিং করে জয় ছিনিয়ে এনেছে। কিছু মানুষ বলবে নিউ জিল্যান্ড সিরিজ জয়ের পর প্রথম একাদশের অধিকাংশ খেলোড়াদের বিশ্রাম দিয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের দাপুটে জয়কে সেই কথা বলে প্রশ্নবিদ্ধ করা সমীচীন হবে না।
জয় জয়ই। আর এটি নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওদের মাটিতে প্রথম ওডিআই জয়। এই জয় টি২০ সিরিজে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ভালো লাগছে গত ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করার পর এই ম্যাচে বল হাতেও সৌম্য সরকারের দারুণভাবে ফায়ার আসা। টপ অর্ডারের একজন ব্যাটসম্যান বল করে উইকেট নিলে দলের ভারসাম্যে অনেক সহায়তা হয়। আশা করি সৌম্য ধারাবাহিক হবে।
সালেক সুফী: আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বিশ্লেষক