হেমা রিপোর্ট ঘিরে তোলপাড় মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি। ২০১৭ সালে এক মালয়ালম অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্তার পর গঠিত হয় হেমা কমিটি। কেরালার হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে হেমার নেতৃত্বাধীন গঠিত এ কমিটির রিপোর্ট সম্প্রতি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে কেরালা সরকার। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে নারীদের যৌন হেনস্তা করা হয়, তা বেরিয়ে এসেছে হেমা রিপোর্টে। যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত অনেক নারী।
অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন আবার অভিনেতাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়ালম মুভি আর্টিস্টসের সঙ্গে যুক্ত। বিতর্কের জেরে সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। গঠিত হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির এ ঘটনা প্রভাব ফেলেছে ভারতের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিতেও। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তেলুগু অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তেলেঙ্গানা সরকারকে তিনি অনুরোধ করেছেন তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হয়রানি রোধে গঠিত বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করতে।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গতকাল সামান্থা লিখেছেন, ‘হেমা কমিটির রিপোর্টকে আমরা স্বাগত জানাই। কেরালার সংগঠন উইমেন ইন সিনেমা কালেকটিভ এ বিষয়ে প্রথম সোচ্চার হয়েছে। তাদের দেখানো পথে আমরাও হাঁটছি। ২০১৯ সালে গঠিত তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত নারীদের সংগঠন দ্য ভয়েস অব উইমেনের পক্ষ থেকে তেলেঙ্গানা সরকারের কাছে আমাদের দাবি, যৌন হয়রানির বিষয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। এটি নারীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’ সামান্থার এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রির অনেকে।
পশ্চিমবঙ্গের অনেক শিল্পীও সরব হয়েছেন যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে। নারী সুরক্ষা কমিটি তৈরির জন্য টালিউডের সঙ্গে যুক্ত নারীরা চিঠি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনকে। তার দুই দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে ফেডারেশন। গঠন করা হয়েছে সুরক্ষা বন্ধু নামে একটি কমিটি। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘কাজ করতে এসে অনেকেই এ ধরনের ঘৃণ্য আচরণের শিকার হচ্ছেন, যা একেবারেই কাম্য নয়। ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই যাতে সুস্থ পরিবেশে সৃজনশীল কাজ করতে পারেন, সে জন্যই এই কমিটি।’