সারফেস ট্যাব নিজেই মেরামত করা যাবে

সারফেস সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ ‘সারফেস প্রো ৯’–এর যন্ত্রাংশ মেরামত এবং পরিবর্তনের সুবিধা রেখেছে মাইক্রোসফট। ল্যাপটপটির যে যন্ত্রাংশগুলো পরিবর্তন এবং মেরামত করা যাবে সেগুলো হলো—ডিসপ্লে, ব্যাটারি, মাদারবোর্ড, এসএসডি, সারফেস কানেক্ট পোর্ট, স্পিকার, ফ্রন্ট ও ব্যাক ক্যামেরা, পাওয়ার ও ভলিউম বাটনসহ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ই-কমার্স সাইট আইফিক্সইট জানিয়েছে, ল্যাপটপটি মেরামতের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চলতি বছরের শেষ দিকে তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা এটি আইফিক্সইট–এর ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। মাইক্রোসফটের লক্ষ্য ২০২৩ সালের মধ্যে একটি ‘অনুমোদিত মেরামত নেটওয়ার্ক’ প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে মাইক্রোসফট।

আইফিক্সইট–এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সারফেস সিরিজের সব ল্যাপটপের মধ্যে সারফেস প্রো ৯ সবচেয়ে সহজে মেরামত করা যাবে। মেরামত করার সুবিধার ভিত্তিতে আইফিক্সইট ‘সারফেস প্রো ৭’ কে ১০ এর মধ্যে ১ দিলেও ‘সারফেস প্রো ৯’ কে দিয়েছে ১০ এর মধ্যে ৭। আইফিক্সইট জানিয়েছে, কীভাবে একটি ডিভাইসকে সেরা উপায়ে মেরামতযোগ্য করা যায়—এই ব্যাপারে তারা মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার টিমকে সরাসরি পরামর্শ দিচ্ছে।

মাইক্রোসফট সারফেস সিরিজের আগের সংস্করণগুলোতে ব্যাটারি আঠা দিয়ে সংযুক্ত করত। ফলে ব্যাটারি পরিবর্তন করতে বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। তবে নতুন মডেলে ব্যাটারি সংযুক্ত করা হচ্ছে স্ক্রু দিয়ে। ফলে সহজেই ব্যাটারি খুলে পরিবর্তন করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

দীর্ঘদিন ধরেই পণ্য মেরামতের সুবিধা পাওয়ার জন্য আন্দোলন করে আসছে প্রযুক্তিপ্রেমীরা। ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোসফট এই আন্দোলনে সাড়া দিয়েছে। এ ছাড়া, চলতি বছরের শুরুতে নিউ ইয়র্ক ‘ডিজিটাল ন্যায্য মেরামত আইন’ পাস করে। এই আইন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে যেসব কোম্পানি প্রযুক্তিপণ্য বিক্রি করে, তাদের গ্রাহক এবং স্বাধীন মেরামতের দোকানগুলোকে যন্ত্রাংশ, সফটওয়্যার এবং পণ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

9 + 2 =