সুইসদের জালে ৬ গোল পর্তুগালের, রামোসের হ্যাটট্রিক

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোকে ছাড়াই একাদশ সাজান পর্তুগালের কোচ ফের্নান্দো সান্তোস। সিআর সেভেনের বদলে মাঠে নামান বেনফিকার হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার গোঞ্জালো রামোসকে। বলা যায়, বড় ঝুঁকিই নিয়েছিলেন সান্তোস। গুরুর আস্থার দারুণ প্রতিদান দিলেন রামোস। তার হ্যাটট্রিকে সুইসদের ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে পর্তুগাল। একটি করে গোল করেছেন পেপে ও রাফায়েল গুরেইরো ও রাফায়েল লিয়াও।

খেলার ১৭ মিনিটে প্রথম গোল পায় পর্তুগাল। থ্রো থেকে বক্সের মধ্যে রামোসকে পাস দেন জোয়াও ফেলিক্স। প্রথম পোস্টে থাকা গোলরক্ষকের পাস দিয়ে জোরালো শটে গোল করেন রামোস। দাঁড়িয়ে দেখলেন গোলরক্ষক। রোনালদোর বদলে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই গোল করেন তিনি। ৩৩ মিনিটে লিড ডাবল করেন পেপে। কর্নার থেকে জোরালো হেডে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি। সুইস গোলকিপার ইয়ান সমারের কিছু করার ছিল না।

৪২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন রামোস। প্রতি আক্রমণ থেকে মাঝমাঠে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে বক্সের মধ্যে রামোসের উদ্দেশে বল বাড়ান ফের্নান্দেস। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি রামোস। ২-০ গোলে এগিয়ে সাজঘরে যায় পর্তুগাল।

বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সুইসরা। ৫১ মিনিটে আবারও গোল খেয়ে বসে তারা। নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রামোস। বল নিয়ে ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন দিয়োগো দালত। তিনি ক্রস রাখেন বক্সে। বাঁ পায়ের টোকায় গোলরক্ষকের পায়ের তলা দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রামোস।

এর চার মিনিট স্কোরবোর্ড ৪-০। এবার গোল করলেন রাফায়েল গুরেইরো। বক্সের বাইরে বল পেয়ে গতি বাড়িয়ে বক্সে ঢোকেন তিনি। তার পরে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল। ৫৮ মিনিটে একটি গোল শোধ করে সুইজারল্যান্ড। কর্নার থেকে সতীর্থের মাথায় লেগে বল আসে আকাঞ্জির সামনে। পাঁ পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন রমোস। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক তার। এটি চলতি বিশ্বকাপেরও প্রথম হ্যাটট্রিক। নিজেদের মধ্যে বল খেলে বক্সের মধ্যে তার দিকে বল বাড়ান ফের্নান্দেস। আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথায় ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রোনালদো। এরপর তুলে নেওয়া হয় হ্যাটট্রিক করা রামোসকে। ম্যাচের ৯২ মিনিটে সুইসদের জালে শেষ পেরেক ঠুকেন রাফায়েল লিয়াও। গুরেইরোর অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে শেষ আটে ওঠে পর্তুগাল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eight − 7 =