সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ

একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ। জন্মদিনে কখনই তিনি বিশেষ কোনো আয়োজন করেন না। ঘরোয়াভাবেই উদযাপন করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানান অভিনেত্রী। জন্মদিনে ঢাকাতেই থাকবেন। যদিও তার থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে গেলে তাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, একটি গোয়েন্দা সংস্থার কিছু অবজারভেশন ও আপত্তি থাকায় তাকে দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত নারী আসন-৪ এর প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।

১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। তার পৈতৃক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী। মা পাকিস্তান রেডিওতে প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর বয়সে বেতার নাটকে কাজ করেন সুবর্ণা। সুবর্ণা প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন নবম শ্রেণিতে পড়াকালে। ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছেন। তার অভিনীত সিনেমাগুলো হচ্ছেÑ ‘ঘুড্ডি’, ‘লাল সবুজের পালা’, ‘নতুন বউ’, ‘নয়নের আলো’, ‘সুরুজ মিয়া’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘রাক্ষস’, ‘অপহরণ’, ‘স্ত্রী’, ‘দূরত্ব’ ইত্যাদি। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। এতে ‘মুনা’ চরিত্রে তার অভিনয় সব মহলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। এর পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে একের পর এক অভিনয় করতে থাকেন তিনি। ‘আজ রবিবার’ নাটকে তার দুর্দান্ত অভিনয় নজর কাড়ে সবার। প্রতিটি চরিত্রে সুবর্ণা ছিলেন প্রাণবন্ত, সাবলীল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eight − 6 =