সুড়ঙ্গ ও প্রিয়তমা সিনেমার ভালো-মন্দ

এবারের ঈদে ঢালিউডে মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি সিনেমা। দর্শক মহলে ঈদের দুটি সিনেমা নিয়ে হচ্ছে বেশ আলোচনা। রায়হান রাফি নির্মিত ‘সুড়ঙ্গ’ ও হিমেল আশরাফ নির্মিত ‘প্রিয়তমা’। সিনেমা দুটি নিয়ে লিখেছেন গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত।

আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ

ছোটপর্দার অভিনেতা আফরান নিশোর বড় পর্দায় অভিষেক ঘটলো রায়হান রাফির ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। শুরু থেকেই দর্শক মহলে সিনেমাটি নিয়ে ছিল তুমুল উন্মাদনা। টিজার আর আফরান নিশোর ফাস্ট লুক রিলিজের পর সিনেমাটি নিয়ে সর্বমহলে তৈরি হয় উন্মাদনা।

গল্প: রায়হান রাফি বেশ কয়েক বছর যাবত রিয়াল স্টোরিকে পর্দায় তুলে আনছেন। সুড়ঙ্গ সিনেমার গল্প অনেকেরই জানা। কিশোরগঞ্জে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকে ঢুকে টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সিনেমাটির গল্প এগিয়েছে। যে কারো মাথায় চলে আসবে ক্রাইম ঘরানার সিনেমা। কিন্তু না, সিনেমায় বেশ কিছু ঘরানার মিস্কডআপ দেখা যায়। তবে কোথাও গোঁজামিল হয়নি। এখানেই নির্মাতার মুন্সিয়ানা। খণ্ড গল্পগুলো এক সুতায় বাঁধতে পেরেছেন।

চিত্রনাট্য: ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। চিত্রনাট্যকার নাজিম উদ দৌলা গল্পটা সুন্দরভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের পর্দায় ধরে রাখতে পেরেছেন। কোথাও গিয়ে ঝুলে যায়নি। দর্শক বিরক্ত হয়নি। সেকেন্ড হাফে তার মুন্সিয়ানাতে ‘আপেল খান’ চরিত্রটা সৃষ্টি হয়েছে। স্ক্রিন প্লে ছিল পারফেক্ট। যার ফলে দর্শক সিনেমার সঙ্গে আটকে ছিল চুম্বকের মতো।

অভিনয়: সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও তমা মির্জা। পার্শ্বচরিত্রে ছিলেন মোস্তফা মনোয়ার, শহীদুজ্জামান সেলিম, অশোক ব্যাপারী, মনির আহমেদ শাকিল। ‘মাসুদ’ চরিত্রে আফরান নিশো আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন। শুরু থেকে শেষ সিকুয়েন্স পর্যন্ত একদম চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘ময়না’ চরিত্রে তমা মির্জা দুর্দান্ত। তার চরিত্রের মাঝে বেশ কিছু লেয়ার ছিল। যা তিনি খুবই দক্ষতার সাথে পর্দায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। মোস্তফা মনোয়ার পরিমিত অভিনয় করেছেন। অনেক সময় মনে হচ্ছিল, অন্য কেউ হলে মন্দ হতো না। সেকেন্ড হাফে আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। ‘আপেল খান’ চরিত্রে এতটা স্বতঃস্ফূর্ত পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছেন বলতেই হয় তিনি জাত শিল্পী। পুলিশ চরিত্রে চাটগাঁইয়া ভাষায় ডায়ালগ ডেলিভারি করে হলভর্তি দর্শককে হাসিয়েছেন তিনি। অশোক ব্যাপারীও যখনই স্ক্রিনে এসেছেন ন্যাচারাল পারফরম্যান্স করেছেন। মনির আহমেদ শাকিলের চরিত্রটার দিকে খানিকটা নজর কম দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তব্ওু তিনি যখনই স্ক্রিনে এসেছেন নিজস্ব ঢংয়ে অভিনয় করেছেন।

টেকনিক্যাল দিক: ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার টেকনিক্যাল পার্ট দুর্দান্ত। সুমন সরকার ক্যামেরা হাতে মুগ্ধ হওয়ার মতো করেছেন। চমৎকার কিছু ভিজ্যুয়াল দেখা গিয়েছে। সেট ডিজাইন ও আর্ট ডিপার্টমেন্টে ছিল পরিপক্বতার ছাপ। আরাফাত মহসীন নিধির করা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক নিয়ে কথা বলতেই হয়। সিনেমায় রোমান্টিক, থ্রিলিং, দুঃখ কিংবা আবেগঘন প্রতিটি মোমেন্টে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিল টপনচ। যা দর্শককে গল্পের সঙ্গে কানেক্ট করতে সক্ষম হয়েছে। কালার গ্রেডিং খুবই ভালো হয়েছে। এডিটিং নিয়েও প্রশংসা করতে হয়।

সংগীত: সিনেমায় সংগীত গল্পের আবহের সঙ্গে মিল রেখেই করা হয়েছে। রোমান্টিক ঘরানার ‘গা ছুঁয়ে বলো’ শিরোনামের গানটি ছিল বেশ শ্রুতিমধুর। গানটির একটি স্যাড ভার্সনও শোনা যায়; যা বেশ আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করেছে। অনেকেই আইটেম সং ‘কলিজা আর জান’ নিয়ে সমালোচনা করেছিল; কিন্তু সিনেমায় গানটির ব্যবহার অযৌক্তিক বলে মনে হয়নি। জনপ্রিয় একটা গানের রিক্রিয়েট ট্র্যাক দেখা যায়। সেই গানটির ব্যবহারের টাইমিং ছিল পারফেক্ট। মিউজিক ডিপার্টমেন্ট চোখ বুঝে লেটার মার্ক পাবে।

নির্মাণ: রায়হান রাফির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ম্যাচিউরড নির্মাণ উপহার দিয়েছেন ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায়। প্রতিটি বিভাগে নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ হিসেবে। বলতেই হবে আফরান নিশোর মতো অভিনেতাকে নিয়ে তিনি যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তা তিনি বুঝে শুনেই নিয়েছেন। রাফির নির্মাণশৈলীতে পরিপক্বতার ছাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। তাড়াহুড়ো করে নির্মাণ করা হয়নি তা-ও টের পাওয়া গেছে।

নেগেটিভ দিক: সিনেমায় বেশ কিছু অ্যাডাল্ট সিকুয়েন্স রয়েছে; যা অবশ্যই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে যেকোনো শ্রেণির ফ্যামিলি দর্শককে। খানিকটা সর্তক করা প্রয়োজন ছিল; যাতে দর্শক এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না পড়ে। যেহেতু সিনেমার ট্রেলার রিলিজ হয়নি তাই অবশ্যই দরকার ছিল কোথাও স্পেসিফিকভাবে মেনশন করা। ক্যারেক্টার রিপিটেশন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। ‘পরাণ’ সিনেমার প্যাটার্নে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায়ও একজন নায়িকা ট্রিট করা হলো বলে মনে হয়েছে।

পজিটিভ দিক: অবশ্যই সবচেয়ে বড় দিক একটা চমৎকার নির্মাণ। সবকিছুর মিশেলে একটা পরিপূর্ণ সিনেমা। অভিনয় থেকে নির্মাণশৈলী কিংবা টেকনিক্যাল দিক, সবকিছুতে ছিল পরিপক্বতার ছাপ। সিনেমাটি দেখার সময় বোর হওয়ার সুযোগ নেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা ছিল। একটা কমার্শিয়াল সিনেমায় যে এলিমেন্টগুলো প্রয়োজন হয় তার সবকিছুই পাওয়া যাবে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাজুড়ে।

 

শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’

ঈদ মানেই ঢাকাই সিনেমার ‘কিং খান’ শাকিব খানের সিনেমা। এবারের ঈদে হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’য় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শাকিব খানের দুটি ক্যারেক্টার পোস্টার রিলিজ হওয়ায় পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে শাকিব ভক্তদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকদের মাঝে কথোপকথন শুরু হয়।

গল্প: চিরচেনা গল্প। গল্পের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। চেনা গল্পের খাপছাড়া উপস্থাপন। সিনেমার নাম দেখে মনে হবে প্রেমময় কোনো গল্প। তবে শুরু থেকে শেষ, ব্যতিক্রম কিছুর দেখা মেলেনি। মনে হয়েছে পুরানো গল্প নতুন করে সাজানো হয়েছে শাকিব খানকে পুঁজি করে। গল্পের দিক থেকে পাস মার্ক পেতেই ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার কষ্ট হবে। নাম শুনে মনে হবে রোমান্টিক ঘরানার ফিল্ম কিন্তু সিনেমাজুড়ে প্রেমের গল্পটাই কেন জানি স্টাবলিশ হয়নি। শাকিব খানের দুটি লুক প্রকাশের ফলে গল্পের এন্ডিং বুড়ো বয়সে গিয়ে হবে তা আগে থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল। আর হয়েছে খানিকটা এমনই।

চিত্রনাট্য: নির্মাণের পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখেছেন হিমেল আশরাফ। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ফারুক হোসেন। দুর্বল চিত্রনাট্য। সিনেমা শুরু হওয়ার ত্রিশ মিনিটের মধ্যে যেকোনো শ্রেণির দর্শক চুপসে যাবেন। কেননা সিনেমার সঙ্গে এনগেজড করে রাখার মতো কোনো বিষয় ঘটেনি পর্দায়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল না। একটা দৃশ্য অন্য একটি দৃশ্যে চলে যাওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নির্মাতা হিমেল আশরাফ গল্পের পাশাপাশি চিত্রনাট্যের জায়গায়ও ব্যর্থ হয়েছেন। গল্পই যদি দুর্বল হয় তবে চিত্রনাট্য কি আর শক্তিশালী করা সম্ভব!

অভিনয়: কমার্শিয়াল সিনেমায় নায়কের এন্ট্রি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর শাকিব খানের সিনেমা হলে তো কথাই নেই। এন্ট্রি সিন নিয়ে হয় আলাদা মাতামাতি। ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় ‘আমি নিজের ঢোল নিজে পিটাই না, আমার পরিচয় পাবলিক দেবে, আমি না’, এই সংলাপ বলে এন্ট্রি নিয়েছেন শাকিব খান। শাকিব খানের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দর্শক তার কিছু সিলেক্টেড লুক দেখেছে। কিন্তু ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় শাকিব খানের লুক ছিল ব্যতিক্রম। সেকেন্ড হাফের লাস্ট ত্রিশ মিনিট ভিন্ন এক শাকিব খানের দেখা মিলেছে। শাকিব খানের বিপরীতে দেখা যায় কলকাতার ইধিকা পালকে। ‘ইতি’ চরিত্রে তার অভিনয় বেশ ভালো ছিল। মিষ্টি চেহারার মেয়েটির হাসি দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। তবে বাংলাদেশের কোনো অভিনেত্রীও যদি এই চরিত্রে অভিনয় করতেন তবে পর্দায় এমন ডেলিভারি দিতে সক্ষম হতেন। তাকে কাস্ট করার পিছনে ব্যতিক্রম কিছু খুঁজে পেলাম না। শহিদুজ্জামান সেলিম পরিমিত অভিনয় করেছেন। এছাড়া বাকিরা স্ব স্ব চরিত্রে ভালো অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মনে রাখার মতো কোনো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। লুৎফুর রহমান খান সীমান্ত নামের একজনকে দেখা যায়, তার চরিত্রটা ডেভেলপ হয়নি বললেই চলে। শাকিব খানকে ঘিরেই সিনেমার গল্প এগিয়ে গেছে, অনান্য চরিত্রগুলো গুরুত্ব পায়নি।

সংগীত: প্রিন্স মাহমুদের সুর করা ‘ঈশ্বর’ শিরোনামের গানটি বেশ শ্রুতিমধুর ছিল। গানের দৃশ্যায়নে দুজনের রসায়ন ছিল বেশ ভালো। বালাম ও কোনালের দ্বৈত কণ্ঠে ‘ও প্রিয়তমা’ শিরোনামের গানটি বেশ ভালো হয়েছে। এছাড়া ‘গভীরে’ শিরোনামের গানটাও ভালো। সিনেমার শুরুতে ‘কোরবানি কোরবানি’ শিরোনামে গানটা রাখার কোনো অর্থ খুঁজে পেলাম না।

টেকনিক্যাল দিক: টেকনিক্যাল পার্ট অতিমাত্রায় দুর্বল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কালার শুধু পরিবর্তনই হয়েছে। কালার গ্রেডিং নিখুঁতভাবে করা হয়নি। বিজিএম নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ ছিল। সেকেন্ড হাফের শেষ ত্রিশ মিনিটে ‘ঈশ্বর’ গানের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা গল্পে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। সিনেমার আর্ট ডিপার্টমেন্টেও দুর্বলতার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। টেকনিক্যাল দিকে হিমেল আশরাফ পরিপক্বতার ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ক্যামেরার কাজ ভালো। তবে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।

নির্মাণ: হিমেল আশরাফ ছোটপর্দায় নিজেকে অনেকবার প্রমাণ করেছেন। ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়। তার নির্মিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ নির্মাণের দিক থেকে প্রথম সিনেমা থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু একটা পরিপূর্ণ সিনেমা হিসেবে ‘প্রিয়তমা’ ব্যর্থ। প্রতিটি সিকুয়েন্সে ধরা দিয়েছে নির্মাতার তড়িঘড়ি। যত্নশীল নির্মাণ হয়নি তা বলতেই হয়। একজন সুপারস্টারকে পুঁজি করে হিমেল আশরাফ নিজেকে একজন সফল নির্মাতা বলতে পারেন না। নির্মাতা হয়ে ওঠার জন্য তার আরও ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

নেগেটিভ দিক: সিনেমার প্রথম হাফ শেষ করার পরও কোন ঘরানার সিনেমা তা বোঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছে। শাকিব খানের লুক নিয়ে এতটা মাতামাতি। কিন্তু শাকিব খানের লুকের সঙ্গে সিনেমার গল্পের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুজনের প্রতি যে দুজনের অসীম প্রেম তা সিনেমার কোথাও স্টাবলিশ করা হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে পরিপূর্ণ সিনেমা হতে ব্যর্থ ‘প্রিয়তমা’।

পজিটিভ দিক: সেকেন্ড হাফের শেষ ৩০ মিনিট শাকিব খানকে ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে পেয়েছে দর্শক। সিনেমার তিনভাগের শেষ ভাগটা সবচেয়ে ভালো। শাকিব খানের নতুন নায়িকা হিসেবে ইধিকা পালের উপস্থিতি পর্দায় আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। দুজনের রসায়ন ছিল বেশ ভালো। সিনেমার দুটি গান বেশ শ্রুতিমধুর ছিল।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: সিনেমালজি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eight − 5 =