সুইফটের পর সেলেনাও বিলিয়নিয়ার হলেন

‘অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং’ সিরিজের নতুন সিজনে সেলেনা অভিনীত চরিত্রের সাধারণ এক পডকাস্ট নিয়ে তৈরি হয় বড় আকারের সিনেমা। বাস্তবেও এমন নাটকীয় ব্যাপার ঘটে গেছে সেলেনা গোমেজের জীবনে। খানিকটা আড়ালে ও নীরবেই তিনি তৈরি করে চলেছেন নিজের সাম্রাজ্য।

৩২ বছর বয়সী এই গায়িকা ও অভিনেত্রী ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডিজনি চ্যানেলে শিশুশিল্পী হিসেবে, এরপর সংগীতে সাফল্য, নিজের প্রসাধনী ব্যবসা শুরু করা, এখন তিনি এমিতে নমিনেশন পাওয়া হুলুর শো অনলি মার্ডারস ইন দ্য বিল্ডিং-এ অভিনয় করছেন। এই যাত্রাপথে তিনি নিজের ভাগ্য এমনভাবে গড়েছেন যে এ বয়সেই হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকনিষ্ঠ নারী বিলিয়নিয়ার।

ব্লুমবার্গ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সেলেনা গোমেজের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলার। প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম উঠল তাঁর। এ বছর আরও এক শিল্পী বিলিয়নিয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেন—টেলর সুইফট। সুইফট ও সেলেনা ছাড়াও সংগীত জগৎ থেকে বিলিয়নিয়ার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন রিয়ানা, র‍্যাপার জে-জি, ইয়ে ও ব্রুস স্প্রিংস্টিন।

সেলেনার সঙ্গে অনেক আগে থেকেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক সুইফটের। তিনি যেমন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন গান ও তাঁর ইরাস ট্যুর দিয়ে, অন্যদিকে সেলেনা এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন প্রধানত তাঁর প্রসাধনী ব্যবসা ‘রেয়ার বিউটি’র মাধ্যমে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যবসাটি শুরু করেন তিনি।

মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ স্টেসি জোনস বলেন, ‘সেলেনা শুধু একজন পপতারকা নন। তিনি বহুমুখী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নানা ধরনের ব্যবসা থেকে এই অর্থ আয় করেছেন সেলেনা।’ ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, সেলেনার সম্পত্তির ৮০ শতাংশের বেশি এসেছে রেয়ার বিউটির লভ্যাংশ থেকে।

বাকি অর্থ তিনি পেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এনডোর্সমেন্ট, সংগীতসফর, অ্যালবাম, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ওয়ান্ডারমিল থেকে, যেটি সেলেনা ও তাঁর মা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ২০২২ সালে। অনুসারীর দিক থেকে ইনস্টাগ্রামে বর্তমানে সেলেনার অবস্থান তৃতীয়। পেজ সিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন পণ্যের প্রচারের জন্য প্রতি পোস্টে ৩০ মিলিয়ন ডলার নেন। ফলে এটিও তাঁর আয়ের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 − two =