সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধার সম্ভব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বন্দি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। খবর বাসস।

তিনি বলেন, দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হচ্ছে আমাদের প্রধান দায়িত্ব। নাবিকদের সুষ্ঠুভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিকদের উদ্ধার কোনো ছোট ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান করা সম্ভব না। সম্পূর্ণ ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে নাবিকদের যেন দেশে আনতে পারি- সে লক্ষ্যে কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি, সেটা সমস্যা হয়েছে। আশা করছি- অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমাদের নৌপরিবহন অধিদফতর আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তারাও খোঁজ-খবর রাখছেন। সার্বিক বিবেচনায় পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে নাবিকদের যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদফতরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। বিষয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। এখন দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এই ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষে আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারবো না যে, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সেই মানুষদের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ আটকে গেলো, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করা হয়েছিল। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ঠ তৎপর  ছিলেন। তাঁর সহায়তায় আমরা সেটির দ্রুত সমাধান করতে পেরেছি।

এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঘরফেরা মানুষের ভোগান্তি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌপথে চাপ থাকলেও কোনো ভোগান্তি নেই। ঈদযাত্রার জন্য সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কারণ তিনি মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির (বহুমুখী সংযোগ) কথা ১৯৯৬ সালে প্রথম বলেছিলেন। বাংলাদেশের তিনি এই বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছেন। ‘আকাশপথ, রেলপথ ও সড়কপথ যা দেখেন, যে পরিমাণ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে – তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে দূরে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। মূল ভূখন্ডের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলকে যুক্ত করেছে পদ্মাসেতু।

মজু চৌধুরী ঘাটের আজকের চিত্রের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে অতিরিক্ত চাপ ছিল, কিন্তু ভোগান্তি ছিল না। যাদের ভোগান্তির কথা বলছেন, তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবেন, এটিই ঈদের আনন্দ। এখন কোনটা আমি ধরবো বলেন? ‘‘আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী যথাসাধ্য সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতেই পারি। কারণ আমরা মানব কাঠামোর উন্নয়নে এখনো ওই জায়গায় যেতে পারিনি।”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

ten + 19 =