সৌরভের স্ত্রী হচ্ছেন অ্যানিমেলের নায়িকা

ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ বলে ডাকা হয় সৌরভ গাঙ্গুলিকে। ক্রিকেটে দাদাগিরি কম করেননি তিনি। ১৯৯৬ সালে অভিষেক টেস্টেই হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। ২০০২ সালে ট্রফি জিতে লর্ডসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে তো জামা খুলে ঘুরিয়েছিলেন। এসব দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসের সোনালি অতীত।

২২ গজে সৌরভের কীর্তিগাথা পর্দায় তুলে ধরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, তাকে নিয়ে ‘কলকাতা ৯৬’ নামের একটি সিনেমা বানাবেন তিনি। সেইসঙ্গে নিজেও নাম লেখাবেন পরিচালনায়। তবে ‘কলকাতা ৯৬’ সিনেমাটি আলোর মুখ দেখেনি। তাই বলে দাদার বায়োপিকের কাজ থেমে থাকেনি।

এরপরই সৌরভের বায়োপিক নির্মাণের কাজ হাতে নেন দক্ষিণি তারকা রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। সৌরভের চরিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয় আয়ুষ্মান খুরানাকে। কিন্তু শেষ অবধি পরিচালনার কাজটি রজনীকন্যার হাতে থাকেনি। তার বদলে ছবির ক্যাপ্টেন ইন শিপ হিসেবে যুক্ত হন বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে।

এদিকে সৌরভ চরিত্রে খুরানা নির্বাচিত হলেও খালি ছিল তার স্ত্রী ডোনা গাঙ্গুলির চরিত্র। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, স্ত্রীর চরিত্রে  দাদার পছন্দ তৃপ্তি দিমরিকে। তবে তৃপ্তিকে নিয়ে আগ্রহটা বেশি সৌরভকন্যা সানা গাঙ্গুলির। পর্দায় মা হিসেবে তিনি চান অ্যানিমেলের নায়িকাকে। দাদা শুধু মেয়ের পছন্দের কথাই জানিয়েছেন। ডোনারও সম্মতি রয়েছে নিজের ভূমিকায় তৃপ্তিকে দেখতে। ভারতীয় ক্রিকেট মহারাজের কথায়, ‘আয়ুষ্মানের বিপরীতে ডোনার ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য সানা পরামর্শ দিয়েছে তৃপ্তি দিমরিকে নিতে। ডোনা তৃপ্তিকে দেখে বলেছে, আমার থেকেও সুন্দরী।’

তবে সৌরভকন্যা চাইছেন বলেই যে তৃপ্তি পর্দায় ডানার ভূমিকায় অভিনয় করবেন বিষয়টি এমন না। এটি নির্ভর করছে পরিচালক বিক্রমাদিত্যের ওপর। তবে তিনি এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি।

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন সাবিনা ইয়াসমিন

অনেক আগে থেকেই সাবিনা ইয়াসমিন ভুগছিলেন ক্যানসার রোগে। সেসময় অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছিল। অতঃপর সুস্থ জীবনে এসেছিলেন ফিরে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শোনা যায়, ফের সাবিনা ইয়াসমিনের শরীরে ফিরে এসেছে ক্যানসার। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। চিকিৎসা নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যানসার সেন্টারে। খবরটি পেয়ে মুহূর্তে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন কিংবদন্তি এ গায়িকার অগণিত ভক্ত। এমন সংবাদ সত্য হওয়ার প্রয়োজন নেই, একমনে চাইছিলেন তারা। ঠিক তখন দেশবাসীর উদ্দেশে সংবাদমাধ্যমকে সাবিনা বলেন, ‘কে বলল আমি অসুস্থ? আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি। আমি এখন সিঙ্গাপুরে নই। আমি এখন আমার ছেলের কাছে লন্ডনে আছি। এক মাস পর দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

বিষয়টি নিয়ে বেশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল সেসময়। তবে জানা যায়, ফেব্রুয়ারিতে সাবিনা ইয়াসমিন সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। ওই সময় তার দাঁতে ৭ ফেব্রুয়ারি একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর নিতে হয় রেডিওথেরাপি। নতুন খবর হলো দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসার পর দেশে ফিরেছেন এ গায়িকা। গত ৩১ মে ঢাকায় পা রেখেন সাবিনা ইয়াসমিন। বিষয়টি তখন নিশ্চিত করেন সাবিনাকন্যা কণ্ঠশিল্পী ফাইরুজ ইয়াসমিন বাঁধন। বাঁধন বলেন, ‘নিয়মিত চেকআপের জন্য আম্মুকে সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা দাঁতের সমস্যা দেখতে পান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি একটি অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার শেষে আম্মুকে রেডিওথেরাপি নিতে হয়। এরই মধ্যে রেডিওথেরাপি কোর্স শেষ হয়। তবে রেডিওথেরাপির কারণে আম্মুর শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। আগামী এক বছর আম্মুকে নির্দিষ্ট সময় পরপর সিঙ্গাপুর যেতে হবে।  চিকিৎসকের নির্দেশমতো তাকে চলতে হবে।’

জয়েস ক্যারল ওটস জিতলেন বেন ফাউন্টেন

কথাসাহিত্যিকদের কাছে খুবই কাক্সিক্ষত জয়েস ক্যারল ওটস পুরস্কারটি। বিশ্বের জনপ্রিয় সব লেখকরা মুখিয়ে থাকেন এ সম্মাননার জন্য। তবে জনপ্রিয় লেখক ছাড়া কারও হাতে এ পুরস্কার ওঠে না। আর পুরস্কারটি দিতে এমন এক লেখককে বেছে নেওয়া হয় যিনি ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী অবস্থায় আছেন। লেখালেখিতে বিশেষ খ্যাতি এবং পাঠকদের প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

এবার এ তালিকায় নাম উঠেছে বেন ফাউন্টেনের। বেন মার্কিন লেখক। লেখালেখির দুনিয়ায় বেশ নাম তার। শুরুটা হয়েছিল ২০০৬ সালে। সে বছর ‘ব্রিফ এনকাউন্টার্স উইথ চে গুয়েভারা’ গ্রন্থের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। প্রথম গ্রন্থই তাকে এনে দিয়েছিল পেন/হেমিংওয়ে পুরস্কার। এর ছয় বছর পর বেন নিয়ে আসেন একটি উপন্যাস। এই বইটি পায় ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল পুরস্কার এবং সেন্টার ফর ফিকশন পুরস্কার। তার লেখা অন্য বইগুলোর মধ্যে ‘বিউটিফুল কান্ট্রি বার্ন অ্যাগেইন’ এবং ‘ডেভিল মেকস থ্রি’ অন্যতম।

এদিকে পুরস্কার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বেন। তার ভাষায়, ‘এমন একটি সময়ে যখন কল্পনা ও বিভ্রান্তি আমাদের জীবনে অনেক কিছুকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে, আমাদের আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছতা ও প্রজ্ঞা দরকার, যা শুধু সেরা উপন্যাস ও ছোটগল্প থেকে পাওয়া সম্ভব। আমরা কথাসাহিত্যিকরা আমাদের কাজটা করে যাচ্ছি। জয়েস ক্যারল ওটস পুরস্কার আমার নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ উৎসাহ দিয়েছে।’

অন্যদিকে ওটস পুরস্কার কর্তৃপক্ষ বেনের নাম ঘোষণার সময় এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘জোসেফ কনরাড, গ্রাহাম গ্রিন, রবার্ট স্টোন এবং রাসেল ব্যাঙ্কসের মতো পূর্বসূরিদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বেন ফাউন্টেন সাহিত্য রচনা করছেন। জনসমক্ষে ব্যক্তির ইমেজ এবং তার ব্যক্তিগত জীবন সমৃদ্ধ ব্যাখ্যায় একত্রিত হয়। প্রায়ই যার ফলাফল দুঃখ-বেদনায় লেখা। তার কাজও পূর্বসূরিদের মতোই মৌলিকভাবে নৈতিক, দূরদর্শী এবং বিড়ম্বনায় পরিপূর্ণ; তবে সহানুভূতিহীন নয়।’

জয়েস ক্যারল ওটস পুরস্কারের যাত্রা শুরু ২০১৭ সালে। সে বছর টি জেরোনিমো জনসনকে প্রথম দেওয়া হয়েছিল এটি। এছাড়া এ সম্মাননা পেয়েছেন লায়লা লালমি, লরেন গ্রফ এবং ম্যানুয়েল মুনোজ।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: ফ্রেম বন্দি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

13 − six =