ন্যায্য পারিশ্রমিক এবং সিনেমা ও সিরিজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সীমিত করার দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকারেরা। এর কিছুদিন পরেই তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন অভিনয়শিল্পীরা। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার (ডব্লিউজিএ) প্রায় সাড়ে ১১ হাজার সদস্য ও স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড—আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টের (এসএজি–এএফটিআরএ) প্রায় দেড় লাখ সদস্য এ আন্দোলনে অংশ নেন। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে টেলিভিশন শো ও হলিউডের নির্মাণাধীন সিনেমাগুলো।
১১০ দিনের মতো হয়ে গেল আন্দোলনের। ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে ধারণা অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। অবশেষে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লেখক ও অভিনয়শিল্পীদের কাজে ফেরাতে সচেষ্ট হচ্ছে হলিউডের স্টুডিওগুলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘দ্য অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসার (এএমপিটিপি)’ রাইটার্স গিল্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সিরিজ ও সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার কমিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছে এএমপিটিপি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, লেখক ও চিত্রনাট্যকারদের বকেয়াসহ সব ধরনের সম্মানী বা পারিশ্রমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবও দিয়েছে তারা।
একই সঙ্গে লেখক ও চিত্রনাট্যকাররা যেন যোগ্য মর্যাদা পান সে বিষয়েও নজর রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু এএমপিটিপি নয়, এ সমঝোতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডিজনি, নেটফ্লিক্স ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির মতো বড় স্টুডিওগুলো।
স্টুডিওগুলোর এসব প্রস্তাব ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে রাইটার্স গিল্ড। তাই এ সপ্তাহেই আবার আলোচনায় বসতে চায় তারা। সেই আলোচনা শেষেই হয়তো আসতে পারে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত। আবারও কর্মমুখর হয়ে উঠতে পারে হলিউড।
উল্লেখ্য, গত ২ মে প্রতিবাদ ও আন্দোলনে নেমেছিলেন হলিউডের লেখক ও চিত্রনাট্যকারেরা। সেই আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করে কাজ বন্ধ করে দেন খ্যাতিমান অনেক অভিনেতাও। ফলে আন্দোলনের কারণে কার্যতই স্থবির হয়ে পড়ে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি।