‘কুত্তা যদি ঘেউ ঘেউ না করল, তাহলে কিসের কুত্তা?’ মোশাররফ করিমের এমন সংলাপ দিয়ে শুরু হয়েছে সদ্য প্রকাশিত ওপার বাংলার ‘হুব্বা’ সিনেমার টিজার। ৪০ সেকেন্ডের টিজারে মোশাররফ করিমকে দেখা গেল নৃশংস রূপে। কখনও পিস্তল হাতে দলবল নিয়ে ঘুরছেন। মানুষ খুন করছেন। বাইকে মেয়েদের নিয়ে ঘুরছেন, রাতের অন্ধকারে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। ঠিক যেমন ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শীর্ষ সন্ত্রাসী হুব্বা শ্যামল। যাকে সবাই ডাকত হুগলির দাউদ ইব্রাহীম। পুলিশ তাকে বারবার গ্রেপ্তার করলেও প্রতিবার জামিনে ছাড়া পেয়ে যেত। পুলিশ চরিত্রে ইন্দ্রনীলকে বলতে শোনা গেল, ‘অশিক্ষিত হলেও স্মার্ট, যার পুলিশের সঙ্গে কানেকশন আছে।’
হুগলির সেই হুব্বা শ্যামলের কাহিনি বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। সিনেমার নামও রেখেছেন ‘হুব্বা’। আর বাংলাদেশের মোশাররফ করিম থাকছেন হুব্বা শ্যামল চরিত্রে।
থ্রিলার এবং কমেডির মিশেলে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা সুপ্রতিম সরকারের লেখা ‘গোয়েন্দাপীঠ লালবাজার’ সিরিজের ‘শ্যামলদা, ভালো আছেন?’ প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে ‘হুব্বা’র গল্প সাজিয়েছেন ব্রাত্য বসু। খুন, জখম, ড্রাগ পাচার ইত্যাদি বহু অপরাধে অপরাধী ছিল হুব্বা। অজস্র পুলিশ কেস ছিল তার নামে। একসময় সে ভোটেও দাঁড়াতে চায়। ২০১১ সালে বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
পরিচালক ব্রাত্য বসু বলেন, ‘হুব্বা সিনেমায় পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অপরাধ জগতের চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’
মোশাররফ করিম বলেন, ‘হুব্বা চরিত্রটি সম্পর্কে সবাই জানে। একটি খারাপ চরিত্র। তবে অভিনয়ের জন্য চরিত্রটি অসাধারণ। আমি উপভোগ করেছি, সঙ্গে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। চরিত্রটির অনেকগুলো লেয়ার আছে। দর্শকরা বেশ উপভোগ করবেন।’
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ফিরদৌসুল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন। ব্রাত্য বসুর ডিকশনারি সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন ফিরদৌসুল হাসান। সে সিনেমায়ও ছিলেন মোশাররফ করিম। ডিকশনারিতে মোশাররফ করিমের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। এবার হুব্বা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের মুগ্ধ করার পালা তাঁর। টিজারে অনবদ্য মোশাররফ করিমকে দেখার পর দর্শকের প্রত্যাশাটাও বেড়ে গেছে।
টিজার রিলিজ করলেও হুব্বা সিনেমার মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তবে কিছুদিন আগে প্রযোজক জানিয়েছিলেন, এ বছরেই প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে সিনেমাটি।