‘হেই সামালো’ দিয়ে কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম সিজন শেষ

‘হেই সামালো’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলা-র প্রথম সিজন। কোকা-কোলার আন্তর্জাতিক সঙ্গীত আয়োজন কোক স্টুডিও-র বাংলাদেশি সংস্করণ প্রথম সিজনে থিম সং ‘একলা চলো রে’-এর পাশাপাশি মোট ১০টি গান প্রকাশ করেছে। প্রথম সিজনের শেষ গানটি ৫০০ ভক্তের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ।

প্রথম সিজনের শেষ গান ‘হেই সামালো’-তে অংশ নিয়েছেন এক ঝাঁক প্রবীণ এবং নবীন তারকা: সামিনা চৌধুরী, বাপ্পা মজুমদার, শায়ান চৌধুরী অর্ণব, দিলশাদ নাহার কণা, ঋতুরাজ এবং সুনিধি নায়েক। এছাড়াও আছেন অনিমেস রায়, রুবাইয়াত, মাশাসহ আরও অনেকে। গানটিতে আরো দেখা যাবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বসবাসকারী ম্রো জনগোষ্ঠীর শিল্পীদের। বান্দরবানের পাহাড়ে তাদের যে বাঁশির সুর শুনতে পাওয়া যায়, তা এখন শোনা যাবে কোক স্টুডিও বাংলা-র বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মেও।

‘হেই সামালো’ শ্রদ্ধা জানাতে চায় বাংলাদেশিদের অদম্য চেতনা ও বিদ্রোহী চরিত্রের প্রতি। সলিল চৌধুরীর লেখা ‘হেই সামালো’ ও আবদুল লতিফের লেখা ‘ওরা আমার মুখের ভাষা’ গান দু’টির মধ্যে ফিউশনের মাধ্যমে এই গানটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৪৮ সালের কৃষকদের নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রতিবাদ পরবর্তীতে বিদ্রোহে রূপ নেয়, সেই সময় ‘হেই সামালো’ গানটি রচিত হয়। আর ‘ওরা আমার মুখের ভাষা’ গানটির প্রেক্ষাপট হলো ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, যার পেছনে বিশ্বাস ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানুষের একটি প্রধান অধিকার।

কোক স্টুডিও বাংলা, দেশের অন্যতম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি নতুন ও পুরাতন প্রতিভার সাথে নিয়ে চমৎকার সব গান তৈরি ও বাংলাপ্রেমী দর্শকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়। ফেব্রুয়ারির মাঝে যাত্রা শুরু করে কোক স্টুডিও বাংলা-র প্রথম সিজন। ছয় মাস ব্যাপী দর্শক-শ্রোতাদের দারুণ সব গান উপহার দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের সিজন।

যাত্রা শুরু করার পর থেকে এই স্বল্প সময়ে কোক স্টুডিও বাংলা-র ইউটিউব সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লক্ষ। আর এর ফেসবুক পেইজে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার। গানগুলোর মোট ভিউ সংখ্যা ৭ কোটি। ১.৫ কোটি ভিউ নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষস্থানে আছে ‘ভবের পাগল’ এবং ‘নাসেক নাসেক’।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

8 − 6 =