১৩৩.৭ মিলিয়ন ইউরো প্রাইজমানি আয় রিয়াল মাদ্রিদের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ গত বছর ইউরোপীয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক ১৩৩.৭ মিলিয়ন ইউরো (১৪৬.৪ মিলিয়ন ডলার) আয় করেছে, উয়েফা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ পর্ব, ফলাফল বোনাস, স্প্যানিশ সম্প্রচার স্বত্বের শেয়ার ও উয়েফা প্রতিযোগিতায় ক্লাবের অতীত ইতিহাসের নিরিখে মাদ্রিদের সর্বমোট প্রাইজ মানি বেড়ে গিয়েছে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পরাজিত লিভারপুল প্রাইজ মানি টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের আয়কৃত অর্থের পরিমান ১২০ মিলিয়ন ইউরো। সব মিলিয়ে উয়েফার সর্বমোট চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রাইজ ফান্ড ২ বিলিয়ন ইউরোরর বেশী ছিল।

এই দুই ক্লাবের বাইরে আর মাত্র দুটি ক্লাব নয় অঙ্কের কোটা পার করেছে, বায়ার্ন মিউনিখ (প্রায় ১১০ মিলিয়ন ইউরো) এবং ম্যানচেস্টার সিটি (প্রায় ১০৯ মিলিয়ন ইউরো)। শেষ ষোলতে মাদ্রিদের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়া পিএসজি আয় করেছে মাত্র ৯২ মিলিয়ন ইউরো। উয়েফা জানিয়েছে গ্রুপ পর্বের ৩২টি দল গড়ে ৬১.৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ২৩.৭ মিলিয়ন ইউরো আয় হয়েছে মলডোভান চ্যাম্পিয়ন শেরিফের।

মাদ্রিদের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত চেলসি আয় করেছে ৯১.৯ মিলিয়ন ইউরো। এ মাসে চেলসি  আবারো শেষ আটে ঐ মাদ্রিদেরই মোকাবেলা করবে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যদি তারা ১১তম স্থানে থেকেই মৌসুম শেষ করে তবে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর খেলার কোন সুযোগই থাকছেনা চেলসির।

গত মৌসুমে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়া বার্সেলোনা আয় করেছে ৬৪.৬ মিলিয়ন ইউরো। ইউরোপা লিগের নক আউট রাউন্ডে খেলার সুবাদে আরো ৬.৪ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য এইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের কাছে পরাজিত হয়ে তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।

ইউরোপা লিগে সর্বাধিক ৩৮ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে ফ্রাংকফুর্ট। ফাইনালে পরাজিত রেঞ্জার্সের আয় ২০.৭ মিলিয়ন ইউরো। প্রথমবারের মত আয়োজিত তৃতীয় টায়ারের প্রতিযোগিতায় ইউরোপা কনফারেন্স লিগে শিরোপা জয়ী রোমা পেয়েছে ১৯.২ মিলিয়ন ইউরো।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × three =