দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০০ রান করার স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ পেসার হাসান মাহমুদ। তাহলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে লড়াকু টার্গেট ছুঁড়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১০১ রান করেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে হাতে নিয়ে ১০১ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা।
আগামীকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় স্কোরের প্রত্যাশা করছেন হাসান। তাহলেই সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে বাংলাদেশ। এক প্রশ্নের উত্তরে হাসান বলেন, ‘তিন সেশন ব্যাট করতে পারলে ৪শ’র কাছাকাছি যেতে পারবো বলে আমি মনে করি। এটি সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘জয় ও মুশফিক অনেক ভালো সময় পার করছে। কালকে ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে যত লম্বা সময় ব্যাট করতে পারে, জুটিটা যত বড় করতে পারে, পরের ব্যাটারদেরও একই অভিপ্রায় নিয়ে ব্যাট করা উচিত, যে আমরা কত বড় পার্টনারশিপ করতে পারবো।’
দক্ষিণ আফ্রিকাকে অন্তত ২০০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে চান হাসান। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য দিলে অবশ্যই আমরা পারব ইনশাআল্লাহ।’
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে গুটিয়ে যাবার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। পরবর্তীতে মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠে বাংলাদেশ। তাই দিন শেষে ভালো অবস্থায় থেকে খেলা শেষ করতে পারে স্বাগতিকরা।
কিন্তু ব্যাটারদের পারফরমেন্স নিয়ে হতাশ হাসান। তিনি বলেন, ‘আউট হওয়াটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। আমার মনে হয় যে আরও মনোযোগ দিয়ে ব্যাট করা উচিত, সেট হয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। তবে মন থেকে বিশ্বাস করি আবার একটা সময় আমরা ঘুরে দাঁড়াব। চিন্তা করি এর পরের দিন ভালো হবে। নিজেদের ব্যাটারদের ভালো খেলার আশা সবারই, স্কোর করবো, সবাই মিলে একটা রান দাঁড় করাব। যেটাতে আমরা ম্যাচ জিততে পারবো। এভাবে চিন্তা করে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
দলের একমাত্র পেসার হিসেবে এই টেস্টে খেলছেন হাসান। এ ব্যাপারে বেশ ইতিবাচক তিনি, ‘আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব সেম, উইকেট নেওয়া, সেটা একটা পেসার দুইটা পেসার যাই হোক। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে, সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা। এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। আমার মনে হয় তাইজুলও ভালো বল করেছে।’
নিজের বোলিং নিয়ে হাসান বলেন, ‘আমি ফিল্ডার অনুযায়ী বল করি। অপর দিক থেকে কেউ যদি মেইডেন ওভার নিতে চায়, বেস্ট বলটাই করতে হবে সবসময়। কিভাবে রান আটকানো যায়, বাউন্ডারি না দিয়ে, বাজে বল না করে বল করা যায়। স্পিন একপাশে, পেস একপাশে হলেও সমস্যা নেই।’
এ বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রামে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় হাসানের। এ ম্যাচের আগে ৫ টেস্টে ২০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। পাকিস্তান ও ভারতের মাটিতে ইনিংসে ৫ উইকেট করে শিকারও করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেট ভালোই উপভোগ করছেন বলে জানান হাসান, ‘আমি উপভোগ করছি। তবে লাল সাদা যাই বল হোক আমার কাজ দলকে জেতানো, পারফর্ম করা। ওটার জন্য লাল বলে অনুশীলন করি। লাইন লেন্থ সুইং নিয়ে প্রতিদিন কাজ করি।’
বাসস