কোটা আন্দোলনকারীদের ‘আমরা সবাই রাজাকার’ স্লোগানের নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচাল নাসির উদ্দিন ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা বলেন, গতকাল গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল থেকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ ও ‘আমরা সবাই রাজাকার’ শ্লোগান শুনে আমরা খুবই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।
তারা বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার লালন, জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসার এবং উদার সংস্কৃতি চর্চার তীর্থভূমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী রাজাকারদের প্রতিনিধিত্ব দাবি করে এমন শ্লোগান উচ্চারিত হওয়ায় আমরা যারপরনাই ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।
বিবৃতিতে এই ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক আরও বলেন, আমরা মনে করি, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার আদর্শকে পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে বহন করবার অধিকার কারো নেই। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আশা করি, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দাবি আদায়ের পথে পরিচালিত হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সৈয়দ হাসান ইমাম, ফেরদৌসী মজুমদার, সুজেয় শ্যাম, ডা. সারওয়ার আলী, আবেদ খান, কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী বীর প্রতীক, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, ম. হামিদ, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গোলাম কুদ্দুছ, শ্যামল দত্ত, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, লাকী ইনাম, সারা জাকের, শিমুল ইউসুফ, আহকাম উল্লাহ।