শ্রীধরন শ্রীরামকে যখন টি-টোয়েন্টি দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে বিসিবি নিয়োগ দিয়েছিল, এর পরপরই রাসেল ডোমিঙ্গোর পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু বিসিবি সেটা স্বীকার করেনি, ডোমিঙ্গোও স্বীকার করেননি।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) তবে সেটি হয়েছে তার পদত্যাগের মাধ্যমে এবং বিসিবি সেটা গ্রহণও করেছে। রাসেল ডোমিঙ্গো থাকাকালীনই বেশ কয়েকবার নাম উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশের আরেক সাবেক কোচ শ্রীলঙ্কাকার চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। তবে সেটা গুঞ্জনই থেকে গিয়েছিল। এখন রাসেল ডোমিঙ্গো পদত্যাগের পর আবার খুব জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে হাথুরুসিংহের নাম।
যদিও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ বিসিবি পরিচালকরা। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন তারা খুঁজছেন হাই প্রোফাইল কোচ।
তিনি বলেন, ‘সামনেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। আমরা আশা করছি এর আগেই, এমনকি আগামী মাসের মধ্যেই কোচ চূড়ান্ত করতে। আমরা একজন হাইপ্রোফাইল খুঁজছি। অনেকের সঙ্গেই আমাদের কথা হচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনই কারও নাম উল্লেখ করতে চাই না ।কারও সঙ্গে চূড়ান্ত হওয়ার আগে নাম উল্লেখ করা ঠিক হবে না।’
জালাল ইউনুস কোচ নিয়োগের ব্যাপারে বিষয়টি সুক্ষভাবে এড়িয়ে গেলেও বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে হাথুরুসিংহের ফেরার সম্ভাবনা খুব বেশি উজ্জ্বল।
তিনি যেমন কোচ হিসেবে ভালো, তেমনি শৃঙ্খলার প্রতিও খুব বেশি অনড়। এখানে সহজে ছাড় দিতে চান না ।যেটা রাসেল ডোমিঙ্গোর মাঝে ছিল না বললেই চলে।
হাথুরুসিংহে এর আগে বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০১৪ সালের মে মাস থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। সে সময় তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই সাকিব বিসিবিকে মৌখিকভাবে বলেই চলে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিপিএল খেলতে।
পরে হাথুরুসিংহে তাকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করেছিলেন বিসিবির মাধ্যমে। তার দায়িত্বকালীন বাংলাদেশ ২১ টেস্ট খেলে জয় পেয়েছিল ৬টিতে হেরেছিল, ১১ টিতে। ওয়ানডেতে ৫২ ম্যাচে জয় ছিল ২৫ টি, হারছিল ২৩ টি। ৪টি ম্যাচ ফলাফল হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে ২৯ ম্যাচে ১০ জয়ের বিপরীতে হার ছিল ১৭টিতে।