শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জর্জ হ্যারিসনের জন্মদিন। ১৯৪৩ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জর্জ হ্যারিসন। বিখ্যাত ব্যান্ড ‘দ্য বিটলস’র লিড গিটারিস্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালের পর থেকে প্রকাশ হওয়া এই ব্যান্ডের প্রায় সব অ্যালবামেই অন্তত দুটি গান ছিলো হ্যারিসনের কম্পোজিশনে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘ট্যাক্সম্যান’, ‘উইদিন ইউ উইদাউট ইউ’, ‘হোয়াইল মাই গিটার উইপস’, ‘হিয়ার কামস দ্য সান’ ও ‘সামথিং’।
১৯৮৮ সালে গঠিত হওয়া মিউজিক্যাল সুপারগ্রুপ ‘ট্রাভেলিং উইলবিউরিস’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জর্জ হ্যারিসন। যেটার সদস্য ছিলেন বব ডিলান, জেফ লাইন, রয় অরবিসন ও টম পেটি। তারা প্রত্যেকেই একক শিল্পী হিসেবেও সফল ছিলেন। বিখ্যাত ম্যাগাজিন রোলিং স্টোনের ‘সর্বকালের সেরা ১০০ গিটারিস্ট’ তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছেন জর্জ হ্যারিসন। ‘দ্য বিটলস’র সদস্য হিসেবে দুইবার তিনি রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম-এ জায়গা করে নিয়েছেন। ২০০১ সালের ২৯ নভেম্বর ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জর্জ হ্যারিসন। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় হিন্দু রীতি অনুসারে, ভারতের গঙ্গা ও যমুনা নদীতে হয়েছিলো অস্থি বিসর্জন।
সময়টা উত্তাল একাত্তর। বীর বাঙালিরা লড়ছে স্বাধীনতার জন্য। একদিকে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংস হামলা, অন্যদিকে রক্তাক্ত ইতিহাসে নতুন একটি দেশের বিজয়ের অপেক্ষা। সেই কঠিনতম সময়ে বাংলাদেশের দিকে ভালোবাসা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি।
এর মধ্যে প্রথমেই যে দুজন মানুষের নাম আসে, তারা হলেন ভারতীয় সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন। ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে তারা বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কনসার্ট করেছিলেন। বিখ্যাত সেই কনসার্টের নাম ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।
প্রায় ৪০ হাজার দর্শক ওই কনসার্টে অংশ নিয়েছিলো। যেখান থেকে প্রায় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার তহবিল উঠে আসে। সেই অর্থ ইউনিসেফের মাধ্যমে বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়। ৮ হাজার কিলোমিটার দূরের বাসিন্দা হয়েও বাংলাদেশের জন্য মন কেঁদেছিলো জর্জ হ্যারিসনের। মঞ্চে উঠে প্রাণখুলে বাজিয়েছেন গিটার, গেয়েছেন গান। এজন্য তাকে বলা হয় বাংলাদেশের পরম বন্ধু। বাংলাদেশের আপামর জনতা তাকে ভালোবাসেন দেশবন্ধু ভেবে।
বাংলা ট্রিবিউন