সত্য ঘটনা নিয়ে রায়হান রাফীর ওয়েব ফিল্ম ‘ফ্রাইডে’

সত্য ঘটনা থেকে নির্মিত বেশ কয়েকটি কনটেন্ট বানিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন রায়হান রাফী। করোনাকালীন গাজীপুরের এক বাড়িতে ডাকাতির পর পরিবারসহ নির্মম নির্যাতনের পর খুন থেকে নির্মিত ‘জানোয়ার’, বরগুনার মিন্নির ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত ‘পরাণ’ কাজগুলো দর্শক সমাদৃত হয়েছে।

সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গল্পে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘দামাল’ বানিয়েও প্রশংসা কুড়ান রায়হান রাফী। নতুন করে তিনি আরও একটি সত্য ঘটনা থেকে ‘ফ্রাইডে’ নামে ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করলেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘বিঞ্জ’ থেকে এর ২৫ সেকেন্ডের একটি মোশন পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে শুক্রবার দুপুরে।

প্রকাশিত টিজার বলে দিচ্ছে, একটি পরিবার তার কর্তাকে হারিয়ে অন্য সদস্যরা অসহায় হয়ে আছে। পরিবার কর্তার একটি ছবির ফ্রেম নিয়ে বসে আছেন তমা মির্জা। পাশে যারা আছে সবাই স্তব্ধ! সকলের চোখেমুখে হাহাকার। তারা বিধ্বস্ত অবস্থায়; যেন তাদের জীবনে বয়ে গেছে সুনামি!

গেল নভেম্বরে শুটিং হয়েছে ‘ফ্রাইডে’র। ‘পোড়ামন-২’ খ্যাত রায়হান রাফী বলেন, ”জানোয়ার-এর পর আরও একটি মর্মান্তিক সত্য ঘটনা নিয়ে বানানো এটি। কোনো কারণে হয়তো ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়ার পর আড়ালে পড়ে গেছে। জানার পর আমিও কিছুসময় স্তব্ধ ছিলাম। এই প্রথম বলছি, গল্পটি স্ক্রিনে দেখে সবাই সহ্য করতে পারবে না। কারণ এতে অনেক বেশী নির্মমতা আছে। হয়তো এ মাসের শেষে অথবা মার্চে মুক্তি পাবে।”

নিকট অতীতে রাফী নির্মিত ‘জানোয়ার’, ‘ডার্ক সাইট অব ঢাকা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘৭ নং ফ্লোর’ দিয়ে অভিনেত্রী হিসেবে অনেকটা পুনর্জন্ম হয় তমা মির্জার। ‘ফ্রাইডে’র মোশন পোস্টার দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, এটি মুক্তির পর তমা আবারও আলোচনায় আসতে পারেন।

‘ফ্রাইডে’ প্রসঙ্গে চ্যানেল আই অনলাইনকে তমা মির্জা শুরুতেই বলেন, পোস্টারে যে ছয়জনকে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকের একেকটা গুরুত্বপূর্ণ গল্প উঠে আসবে। বিশেষভাবে বলতে চাই, দুর্বল চিত্তের মানুষদের জন্য এই কনটেন্ট না। যারা দেখবে তারা যেন পরিবারের সঙ্গে বসে না দেখে, একা দেখা উচিত। কারণ এটি যে ধরণের গল্প, এতে চরম নৃশংস দৃশ্য আছে। যে কেউ এই দৃশ্যগুলো দেখে সহ্য করতে পারবে না। তাই প্রস্তুতি নিয়ে দেখা উচিত।

তমা তার চরিত্র নিয়ে কোনোভাবেই খোলাসা করলেন না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী শুধু বললেন, শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়নি, তবে ১১ মাস মানসিকভাবে লালন করেছি। শুটিং শেষে বাসায় এসে তিনদিন ঘর থেকে বের হতে পারিনি। সবাই জিজ্ঞেস করেছে সমস্যা কি? শুধু বলছিলাম, এই চরিত্র থেকে বের হতে পারছি না। ট্রমার মধ্যে ছিলাম। অভিনেত্রী হিসেবে এই চরিত্রটি করা আমার জীবনে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

আগে রোম্যান্টিক নায়িকা, সাদামাটা চরিত্র, গ্ল্যামার গার্ল সব ধরনের চরিত্র করলেও তমা মনে করেন, এবার যে চরিত্রটি তিনি করলেন তা কালেভদ্রে পাওয়ার মত চরিত্র। তমা বলেন, এই ধরনের চরিত্র করার সুযোগ খুব কম আর্টিস্ট পান। এতো ভারি চরিত্র করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছি, আমার মনে হয় ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে গিয়ে দর্শক ও আমার সহকর্মীদের উচিত আমাকে উৎসাহ দেওয়া। আমার বিশ্বাস, সবাই এই চরিত্র করার প্রশংসা করবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

17 − 6 =