সালেক সুফী: প্রথম বারের মতো ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের টি২০ সিরিজ জয় বড়ো অর্জন। অবশ্যই ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলার জন্য গোটা দল অভিনন্দনের দাবিদার। কিন্তু এই জয় যেন কোনোভাবেই কারো মনে আত্মতুষ্টির জন্ম না দেয়। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিজেদের আঙিনায় হারিয়েছে বলেই কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়নি। টেকসই উন্নয়নের অনেক দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।
দেখছি কেউ কেউ তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে ট্রল করছে। দুই একটি ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রেখে এখনই কেউ কিন্তু ওদের স্থানে প্রকৃত প্রতিস্থাপনকারী হয়ে যায়নি। আসছে আয়ারল্যান্ড আর আফগানিস্তান সিরিজে ধারবাহিকতা অর্জন করার সুযোগ এখন সমাগত। এরই মাঝে দেখছি কিছু বাচাল মানুষ বলছে তার উপদেশ অনুযায়ী পাল্টে গেছে শান্ত, মেরাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিন্তু অর্জনের শেষ নেই। আমাদের নতুন খেলোয়াড়েরা এখনো কিন্তু শিক্ষানভিস। চলার পথ কিছু পিচ্ছিল কাঁটা পূর্ণ। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দুর্গম গিরি কান্তার মরু পারি দিতে হবে।
শান্ত, হৃদয়, হাসান মাহমুদ এখনই বিকশিত হওয়ার পথে। লিটন, আফিফ এখনো প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করেনি। দলে লেগ স্পিন খেলোয়াড় নেই। লেগ স্পিন খেলায় এখনো দিশেহারা বাংলাদেশ। তবে উচ্ছল উজ্জ্বল বাংলাদেশ দলের চোখে জয়ের নেশা। চাপের মুখেও ভেঙে না পড়ার দৃঢ়তা। আমাদের ছেলেদের নিয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যার্থতা আসবে। লিটন, শান্তকে নিয়ে কত নির্দয় ট্রল হয়েছে। কত সহজেই কিছু মানুষ ভুলে যাচ্ছে তামিম, রিয়াদদের অর্জনগুলো।
বাংলাদেশকে কাল ম্যাচজয়ী হয়ে সিরিজে বাংলাওয়াশ অর্জন করতে হবে। দুটি ম্যাচ জিতেই কাজ কিন্তু শেষ হয়নি। কাল যদি দুই একজনকে যাচাই করার সুযোগ থাকে করা যেতে পারে। দলে যখন বোলিং অপশন আছে একজন বোলার কমিয়ে একজন ব্যাটসম্যান যাচাই করা যায়। আশা করি কাল রানে ফিরবে লিটন, আফিফ।
আবারো বলছি বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে জয়ী হয়ে বিশ্বজয়ী ভাবার অবকাশ নেই।