নতুন সিনেমা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। একই সঙ্গে তিনটি সিনেমার কাজ করছেন এ অভিনেত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ এবং নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’।
এরই মধ্যে পূর্ণিমা প্রায় শেষ করেছেন ছটকু আহমেদের আহারে জীবনের কাজ। পূর্ণিমা বলেন, ‘এবারই প্রথম ছটকু ভাইয়ের নির্দেশনায় কাজ করেছি। সিনেমার গল্পটা করোনার সময়ের গল্প। ছটকু ভাই এ দেশের চলচ্চিত্রের একজন গুণী পরিচালক। তিনি নিজেই আমাকে নিয়ে একটি কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যে কারণে আমিও এ সিনেমায় অভিনয় করেছি। সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি ভালো হয়েছে। মুক্তির পর দর্শকের ওপরই নির্ভর করছে এ সিনেমার সাফল্য।’
২০২১-২২ সালের আহারে জীবন নির্মাণে সরকারি অনুদান হিসেবে ৬০ লাখ টাকা ছিল। এ সিনেমায় সহযোগী পরিচালক হিসেবে ছিলেন তাজু কামরুল। পূর্ণিমা ও ফেরদৌসের সঙ্গে এতে আরো অভিনয় করেছেন ওমর সানি, মিশা সওদাগর, অরুণা বিশ্বাস, শাহনূর প্রমুখ।
অন্যদিকে গাঙচিলে পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। জ্যাম সিনেমায় পূর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। পূর্ণিমা তার অভিনীত অন্য দুটি সিনেমা প্রসঙ্গে বলেন, গাঙচিল ও জ্যামের মুক্তির জন্যও অপেক্ষায় আছি। সিনেমা দুটি শিরগির মুক্তি পাবে। তবে এখনো এ দুই সিনেমার কিছু কাজ বাকি আছে।’
পূর্ণিমা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘চিরঞ্জীব মুজিব’। এতে পূর্ণিমা অভিনয় করেছিলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের চরিত্রে। এরপর আর নতুন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।
এছাড়া প্রতি বছর ঈদেই ছোট পর্দায় কাজ করেন পূর্ণিমা। তবে এবারের ঈদে ওটিটিতে যাত্রা করছেন তিনি। ঈদে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘হোটেল রিল্যাক্স’-এ দেখা যাবে তাকে। ডিবি পুলিশের চরিত্রে হাজির হবেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এ নায়িকা। ‘আমি প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছি। আমার মনে হয়েছে, এটি অন্য আট-দশটি গল্পের চেয়ে একটু আলাদা। সবকিছু দেখে-শুনেই এতে যুক্ত হয়েছি। আমার চরিত্রটিও ভিন্ন। সব মিলিয়ে আশা করছি সিরিজে আমার চরিত্রটি সবার ভালো লাগবে।’
আসন্ন ওয়েব সিরিজ নিয়ে নির্মাতা অমি বলেন, ‘গল্পটা পূর্ণিমা আপুকে বলতেই তিনি কনফিডেন্টলি গ্রহণ করলেন ও আমাকে অনুপ্রাণিত করলেন। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে তিনি মানিয়ে গেছেন। তার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল, এবার ব্যাটে-বলে মিলে গেল। পূর্ণিমা আপু ব্রিলিয়ান্ট পারফরমার। শুটিংয়ে তিনি ভীষণ সাপোর্ট দিয়েছেন। দিন পেরিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত আন্তরিকভাবে সময় দিয়েছেন। শুটিংয়ের আগে অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য তিনি ট্রেনিং করেন। তার ডেডিকেশনে আমিসহ শুটিংয়ের পুরো টিম মুগ্ধ।’