৯০ বছর পূর্ণ করলেন। শরীরে বয়সের ছাপ। কিন্তু মনে এখনো তারুণ্যের প্রাণোচ্ছলতা। তিনি সন্জীদা খাতুন। আজ তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা জানান, জন্মদিনের আয়োজনে সন্জীদা খাতুন উপস্থিত থাকবেন।
সন্জীদা খাতুন ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন। মাতা সাজেদা খাতুন। তিনি ‘একুশে পদক’, ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ‘দেশিকোত্তম’ (ডি. লিট), পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার’, কলকাতার ‘টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ থেকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘অনন্যা’ পুরস্কার, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানজনক ফেলোশিপ, বেগম জেবুননেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের স্বর্ণপদক ও সম্মাননা, ‘সা’দত আলী আখন্দ পুরস্কার’, বিজয় দিবস পদক, ২০০৯ বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র- পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন।
সংগঠক সন্জীদা ১৯৬১ সালে জন্মকাল থেকে ‘ছায়ানট’ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবধি ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন’-এর অধ্যক্ষ। ২০০১ সাল থেকে ‘ছায়ানট’-এর সভাপতি। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্’–এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়াও ‘নালন্দা’ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি। তার বেশকিছু রবীন্দ্রনাথের গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
তার প্রকাশিত বইও অনেক। ‘কবি সত্যেন্দ্ৰনাথ দত্ত’, ‘রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাবসম্পদ’ ‘ধ্বনি থেকে কবিতা’, ‘অতীত দিনের স্মৃতি’, ‘তোমারি ঝরণাতলার নির্জনে’, ‘রবীন্দ্রনাথ: বিবিধ সন্ধান’, ‘কাজী মোতাহার হোসেন’, ‘রবীন্দ্রনাথের হাতে হাত রেখে’ ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই’, ‘ধ্বনির কথা আবৃত্তির কথা’, ‘সংস্কৃতির বৃক্ষছায়ায়’, ‘স্বাধীনতার অভিযাত্রা’, ‘সাহিত্যকথা সংস্কৃতিকথা’, ‘আমার সোনার বাংলা’, ‘জননী জন্মভূমি’, ‘রবীন্দ্রনাথ এবং রবীন্দ্রনাথ’, ‘রবীন্দ্রনাথ: তাঁর আকাশ-ভরা কোলে’, ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’, ‘রবীন্দ্রনাথের গান মননে লালনে’ সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন।