মা মানে তো মা

মাধবী লতা

মাকে নিয়ে গল্প, কবিতা, নাটক, গান কত কিছুই হয়। মাকে নিয়ে লিখে শেষ করা যায় না। ‘মা’ শব্দের ব্যপকতা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব না। তবুও আমরা লিখি। মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করি। পৃথিবীর সব মায়েরা একদিন তাদের বাবা-মাকে ছেড়ে চলে আসেন অন্য এক সংসারে। তারা একা একা তিলে তিলে গড়ে তোলেন নতুন এক পৃথিবী। সন্তানদের বড় করে তুলে আবার একা হয়ে যান। আহ কী অদ্ভুত মায়েদের জীবন।

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। ২০২৩ সালের ১৪ মে রোববার বিশ্ব মা দিবস। এই দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন। মা দিবসে রঙ বেরঙের পক্ষ থেকে সব মায়ের জন্য ভালোবাসা।

মা দিবসের ইতিহাস

ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে। এ ছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রবিবারকে বেছে নিয়েছিল। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে পরিচিতি লাভ করে। অনেকেই ক্যাথলিক পঞ্জিকা অনুযায়ী এটিকে লেতারে সানডে যা লেন্টের সময়ে চতুর্থ রবিবারে পালন করতে শুরু করে। তবে ইতিহাস বিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত ‘মাদার্স ডে প্রক্লামেশন’ বা ‘মা দিবসের ঘোষণাপত্র’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস। এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।

মায়ের মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস পালনের জন্য প্রচার চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালিত হয়। এরপর ১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়। এই প্রচারের প্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।

মাকে নিয়ে কালজয়ী যত গান

মাকে নিয়ে অনেক গান রয়েছে। তবে যেসব গান বিখ্যাত হয়েছে, পৌঁছে গেছে দেশের আনাচে-কানাচে, সেরকম কয়েকটি গানের কথা মনে পড়ছে। ‘দশ মাস দশ দিন ধরে গর্ভধারণ, কষ্টের তীব্রতায় করেছে আমায় লালন’ কিংবা ‘রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস, কোথায় আছে কেমন আছে মা’। জেমসের গাওয়া মাকে নিয়ে অন্যতম সেরা গান এটি। ব্যান্ড তারকা জেমসের গাওয়া এই গানের গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। মাকে নিয়ে খুব জনপ্রিয় আরেকটি গান হলো ‘মধুর আমার মায়ের হাসি’ সুধীর লাল চক্রবর্তীর লেখা এই গানটি গেয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল। গানটিতে আরও কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী সাদি মোহাম্মদ। ফকির আলমগীরের ‘মায়ের একধার দুধের দাম’ গানটি শোনেনি, এমন শ্রোতা খুব কম পাওয়া যাবে। গানের কথাগুলো এমন ‘মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না’। আইয়ুব বাচ্চুর ‘আম্মাজান’ গানটির কথা না বললেই নয়। কিংবদন্তি অভিনেতা ও নির্মাতা কাজী হায়াতের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে সফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সেই সিনেমার টাইটেল গান এটি। গেয়েছেন রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুর-সংগীতের এই গান ১৯৯৯ সাল থেকে এখনো ব্যাপক জনপ্রিয়। খুরশিদ আলমের ‘মাগো মা’ গানটিও বেশ জনপ্রিয়। বাংলা সিনেমার সাদাকালো যুগের গান এটি। খুরশিদ আলমের গাওয়া এই গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সুর করেছিলেন সত্য সাহা। গানটি স্থান পেয়েছিল নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাসের ‘সমাধি’ সিনেমায়। ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘এমন একটা মা দে না’ প্রায় ৫০ বছর আগের গান। পপ তারকা ফেরদৌস ওয়াহিদ তখন কলেজের ছাত্র। ডা. নাসির আহমেদের লেখা ও সুরের এ গান ১৯৭৫ সালে বিটিভিতে প্রচার হয়েছিল। এরপর গানটি ছড়িয়ে যায় সবার মুখে মুখে। রাশেদের ‘আমি খুঁজেছি তোমায় মাগো’ মাকে নিয়ে তৈরি হওয়া অন্যতম একটি মিষ্টি সুরের গান। আসিফ ইকবালের লেখা এই গানের সুর-সংগীত করেছেন শওকত আলী ইমন। ‘ওই আকাশের তারায় তারায় চাঁদের জোছনায়, ঝিরিঝিরি কাঁপন তোলা উদাসী হাওয়ায়’ সুরে সুরে রাশেদ যখন কথাগুলো গেয়ে ওঠেন, তখন যে কারোর মন আনমনা হয়ে যায়। ‘একটা চাঁদ ছাড়া রাত’ সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের অন্যতম সেরা গান। ‘মাগো মা ওগো মা, তুমি চোখের এতো কাছে থেকেও দূরে কেন বলো না’ এমন কথার গানটি লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। সংগীতশিল্পী পলাশের কণ্ঠে ‘মা তুমি আমার আগে যেওনা মরে’ গানটিও শ্রোতাদের মনে দারুণভাবে দাগ কাটে। এটির কথা ও সুর করেছেন মিল্টন খন্দকার। ২০০০ সালে পলাশের ‘ভালোবেসে ভুল করেছি’ শিরোনামের অ্যালবামে গানটি প্রকাশ হয়। মুজিব পরদেশীর ‘আমি বন্দি কারাগারে মা’, মনির খানের ‘কোন মাটিতে তৈরি রে তুই মা’ কিংবা ‘এই সেই ঘর’, আগুনের ‘একাত্তরের মা জননী’, এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া, ‘জন্ম দিয়েছো আমাকে ও মা তুমি প্রিয় মা’ গানগুলো এখনও মানুষের হৃদয়ে আছে।

মাকে নিয়ে সিনেমা

বিভিন্ন সময়ে মাকে নিয়ে দেশে দেশে বিভিন্ন ঘরানার চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। শুরুতেই ‘মাদার’ সিনেমাটির কথা বলা যেতে পারে। এ সিনেমাটিকে ‘হারানো চলচ্চিত্র’ হিসেবে ধরা হয়। আমেরিকান নির্বাক স্বল্পদৈর্ঘ্য নাট্য চলচ্চিত্র এটি। যা প্রযোজনা করেছে থানহাউসার কোম্পানি। আবেগপ্রধান এ চলচ্চিত্রে উইল অ্যালেন নামের একটি ছেলে তার সৎ বাবার ভয়ানক অত্যাচারের কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। আর তার মা একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখে ছেলের ফিরে আসার প্রতীক্ষায়। কুড়ি বছর পর উইল বাড়ি ফিরে আসে একজন প্রখ্যাত উকিল হয়ে। কিন্তু সে তার বাবা-মাকে আর খুঁজে পায় না। পরবর্তীতে উইল একজন নারীর হয়ে মামলা লড়ে, যার বিপক্ষে ছিল একটি খরিদ্দার প্রতিষ্ঠান। সেই নারীকে উইল মা হিসেবে চিনতে পারে এবং এভাবে তাদের পুনর্মিলন হয়। অভিনয়ে ছিলেন আনা রোসমন্ড, ফ্রাঙ্ক এইচ ক্রেন ও ক্যারি এল. হ্যাসিং। এটি ১৯১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। যুদ্ধের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়া এক মা-মেয়ের করুণ গল্প নিয়ে ইতালিয় নির্মাতা ভিত্তোরিও ডি সিকা নির্মাণ করেছিলেন ‘টু উইমেন’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতায় কুঁকড়ে যাওয়া মানবতার করুণ গাঁথা এ সিনেমায় তুলে এনেছিলেন তিনি। আলবার্তো মোরাভিয়ার লেখা ‘টু উইমেন’ উপন্যাস থেকে নেওয়া গল্প এটি। একদিকে প্রাণ হারাবার ভয়, আর অন্যদিকে শত্রুশিবিরের লালসা থেকে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে মায়ের সংগ্রাম; এর সবকিছুই উঠে এসেছে ‘টু উইমেন’ সিনেমায়। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সোফিয়া লোরেন এই সিনেমায় মা সেসিরার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এই চরিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় তাকে এনে দিয়েছিল অস্কারসহ মোট ২২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ‘মামা রোমা’ মাকে নিয়ে আরেক নন্দিত সিনেমা। সিনেমাটি ১৯৬২ সালে মুক্তি পায়। ইতালির এই সিনেমাটি সাবেক যৌনকর্মী ও তার ১৬ বছর বয়সী ছেলের কষ্টের জীবন নিয়ে গড়ে উঠে। সংসার চালাতে গিয়ে মাকে যৌনকর্মী হতে হয়। তারপরেও ছেলেকে সে মানুষের মতো মানুষ করে। যৌনকর্মী ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যানা মাগনানি। মা-মেয়ের ত্রিশ বছরের গল্প নিয়ে ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘টার্মস অফ এনডিয়ারমেন্ট’। যে সিনেমার গল্পে দেখা যায়; বাবাহীন এমাকে আগলে রেখে অরোরা খুঁজে ফেরে সত্যিকারের ভালোবাসা। এদিকে এমাও বড় হয়ে জড়িয়ে পড়ে জটিল এক সম্পর্কে, নিজেও অর্জন করে মাতৃত্বের স্বাদ। তাদের চারপাশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করলেও একান্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এই মা-মেয়ে দুজনেই এগিয়ে আসে একে অপরের সাহায্যে। মার্কিন ফুটবল তারকা মাইকেল ওহার আর তার ‘মা’ লেই অ্যান টুওহির গল্প নিয়েই তৈরি সিনেমা ‘দ্য ব্লাইন্ড সাইড’। রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও দিশেহারা কৃষ্ণাঙ্গ এক কিশোরকে নিজের ছেলের মত আগলে রাখা এক শ্বেতাঙ্গ নারীর এই গল্প বিখ্যাত সিনেমার তালিকায় রয়েছে। ২০০৯ সালে জন লি হ্যানক নির্মিত এই সিনেমাটিতে লেই অ্যান এর ভূমিকায় অভিনয় স্যান্ড্রা বুলক। যা তাকে এনে দিয়েছিল সেরা অভিনেত্রীর অস্কার। নকশালবাড়ি আন্দোলনে ছেলে হারানো এক মায়ের মর্মস্পর্শী গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে আরেক সিনেমা ‘হাজার চৌরাসি কা মা’। মহাশ্বেতা দেবীর ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মিত। সেই গল্প থেকেই ভারতে ১৯৯৮ সালে নির্মিত হয় ‘হাজার চৌরাসি কা মা’। প্রায় ১৮ বছর পর সেলুলয়েডের জগতে ফিরে শোকাহত সেই মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জয়া বচ্চন। ঢালিউডে ‘মা’কে নিয়ে নির্মিত সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘মায়ের অধিকার’, দেলোয়ার হোসেন দুলালের ‘বড় মা’, কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’, আওকাত হোসেনের ‘মায়ের দাবি’, দীলিপ বিশ্বাসের ‘মায়ের মর্যাদা’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘মা আমার চোখের মনি’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘আমার মা’ ও ‘মায়ের চোখ’, জাকির হোসেনের ‘মা আমার স্বর্গ’, শেখ নজরুল ইসলামের ‘মা বড় না বউ বড়’, দীলিপ বিশ্বাসের ‘মায়ের মর্যাদা’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ ইত্যাদি।

মা দিবসে কয়েকটি বাণী

পবিত্র কুরআন বলছে, ‘যে তোমাকে গর্ভে ধারণ করেছে সে গর্ভধারিণী মায়ের প্রতি কর্তব্য কর ও শ্রদ্ধা নিবেদন কর।’

আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘যার মা আছে সে কখনই গরীব নয়।’

‘মা হলো পৃথিবীর একমাত্র ব্যাংক, যেখানে আমরা আমাদের সব দুঃখ কষ্ট জমা রাখি এবং বিনিময়ে নেই বিনা সুদে অকৃত্রিম ভালোবাসা। মায়ের অভিশাপ কখনো সন্তানের গায়ে লাগে না। দোয়া গায়ে লাগে, অভিশাপ গায়ে লাগে না। হাঁসের গায়ের পানির মতো অভিশাপ ঝরে পড়ে যায়।’ হুমায়ূন আহমেদ

‘আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী নারী হলেন আমার মা। মায়ের কাছে আমি চিরঋণী। আমার জীবনের সমস্ত অর্জন তারই কাছ থেকে পাওয়া নৈতিকতা, বুদ্ধিমত্তা আর শারিরীক শিক্ষার ফল।’ জর্জ ওয়াশিংটন

‘আমার মা মনে করেন আমিই সেরা আর মা মনে করেন বলেই আমি সেরা হয়ে গড়ে উঠেছি।’ দিয়াগো ম্যারাডোনা

‘মায়ের আদরে যে আরাম, ভরসা আছে, তা আর পৃথিবীর কারও আদরে নেই’ প্রিন্সেস ডায়না।

‘মাতৃত্ব, ভালবাসার শুরু আর শেষ এখানেই’ রবার্ট ব্রাউনিং।

শেষ কথা

পৃথিবীর সকল মায়েদের সম্মানে ছন্দে ছন্দে সমাপ্তি টানছি।

মায়ের মতো বিশাল কোনো বৃক্ষ/বিশ্ব ঘুরে কোথাও পায়নি খুঁজে,/মায়ের ছায়ায় যায় থাকা যায় শুধু/নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে দু’চোখ বুঁজে।/ অন্য যতো গাছের কথাই বলো/সকল গাছের নিচেই আছে ভয়,/বৃক্ষ তলে মিলুক যতই ছায়া/বৃক্ষ কী আর মায়ের মতো হয়।/আমি কেবল আগলে রাখি মাকে/খোকা হয়ে ঘুরি মায়ের পাশে,/মা বলে, ‘তুই বড় হবি কবে?’/বলেই অবাক চাঁদের মতো হাসে।/মাথার উপর মায়ের শাড়ির আঁচল/ এই ছায়াতেই আমার যতো সুখ,/মা কখনো আনমনা হয় যদি/দেখতে থাকি মায়ের সোনা মুখ।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: নিবন্ধ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

12 − three =