শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী স্মরণ অনুষ্ঠান: স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ। বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞদের স্মরণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনের প্রথম দিনে ছিল উপমহাদেশের স্বনামধন্য নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী ও পণ্ডিত রবিশঙ্কর স্মরণ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বুলবুল চৌধুরী এবং পণ্ডিত রবিশঙ্কর স্মরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর প্রথম পর্যায়ে নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী স্মরণে প্রবন্ধ পাঠ করেন বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক ও গবেষক ড. নিগার চৌধুরী। আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক আমানুল হক।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই ‘বুলবুল চৌধুরী’ শিরোনামে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। নৃত্য পরিবেশন করেন সোহেল রহমান (বাফা) ও ফারহানা চৌধুরী বেবী। পণ্ডিত রবিশঙ্কর স্মরণে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রেজওয়ানা আলী লাভলু। প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন মনিরা পারভীন হ্যাপী।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মাইহার ঘরানার স্রষ্টা আচার্য আলাউদ্দীন খান সাহেবের শিষ্য রবি শঙ্কর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্য এবং ভারতীয় সঙ্গীতকে ১৯৬০-এর দশকে পাশ্চাত্য বিশ্বের কাছে প্রথম তুলে ধরেন। তার সাঙ্গীতিক কর্মজীবনের পরিব্যাপ্তি ছয় দশক জুড়ে। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুকালে রবিশঙ্কর দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের জন্য গিনেস রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ও যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরে বিশ্ব দরবারে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষেও অবস্থান নেন তিনি। বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু রবিশঙ্করের ভূমিকা ও নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন আলোচকরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই পন্ডিত রবিশঙ্কর শিরোনামে একক নৃত্য পরিবেশন করেন স্নাতা শাহরিন এবং সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন সুইটি দাস চৌধুরী।
বাংলানিউজ