চলতি মাসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আরও চারটি সিনেমা। এরমধ্যে দুটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত, একটি থ্রিলার চরিত্র ‘মাসুদ রানা’কে নিয়ে আর চতুর্থ সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের শৈশব-কৈশোর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে সরকারি অনুদানে নির্মিত শিশুতোষ সিনেমা ‘মাইক’ পরিচালনা করেছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। ‘মাইক’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ১১ অগাস্ট। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও তানভীন সুইটি।
হৃদি হক পরিচালিত ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ হলে আসছে ১৮ অগাস্ট। লাকী ইনামের প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে সরকারি অনুদানের এ সিনেমা। সাংস্কৃতিক আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের একটি পরিবার এবং সেই সময়ের ঘটনার গল্প বোনা হয়েছে সিনেমার কাহিনীতে।
পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমায় অভিনয়ও করছেন হৃদি হক। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, শিল্পী সরকার অপু, ফেরদৌস, তারিন, লিটু আনাম, সজল, সাজু খাদেম, সানজিদা প্রীতিসহ আরও অনেকে। সংগীত পরিচালনা করেছেন কলকাতার দেবজ্যোতি মিশ্র; শিল্প নির্দেশনায় আছেন লিটু আনাম, সম্পাদনা করেছেন কামরুজ্জামান রনি।
বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের দুর্দান্ত, দুঃসাহসী স্পাই মাসুদ রানাকে বইয়ের পাতার পর এবার নতুন করে পাওয়া যাবে ‘এমআর-নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমার পর্দায়। কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা গোয়েন্দা চরিত্র ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এ সিনেমা, যে বইটি পাঠকের হাতে এসেছিল ১৯৬৬ সালে। দেশ-বিদেশে ২৫ অগাস্ট মুক্তি পাবে ‘এমআরনাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমাটি।
নির্মাতা আসিফ আকবরের পরিচালনায়, ঢালিউড ও হলিউডের যৌথ প্রযোজনার এ সিনেমায় মাসুদ রানা হয়েছেন এবিএম সুমন। হলিউডি অভিনেতাদের মধ্যে ফ্র্যাংক গ্রিলো, মাইকেল জাই হোয়াইট, নিকো ফস্টার এবং ভারতের ওমি বৈদ্য আছেন অভিনয়ে। সুমন ছাড়াও বাংলাদেশি অভিনেতাদের মধ্যে শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম ও টাইগার রবি অভিনয় করেছেন।
আগামী ৬ অগাস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ সিনেমার। শিশুতোষ ঘরানার এ সিনেমার নির্মাতা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে আম-কাঁঠালের ছুটি।
এ সিনেমার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর বাংলাদেশের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা পরিচিত হতে পারবে বলেও নুরুজ্জামান আশা প্রকাশ করেন। নির্মাতা বলেন, “চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে সামার হলিডে।”
প্রযোজনা ও পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা এবং সাউন্ড ডিজাইন করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান নিজেই। এ সিনেমার প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন ‘আদিম’ খ্যাত নির্মাতা যুবরাজ শামীম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুবায়ের, লিয়ন, আরিফ, হালিমা, তানজিল, ফাতেমা এবং কামরুজ্জামান কামরুল।