প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে অবতরণ করার গৌরব অর্জন করেছে ভারতের তৈরি চন্দ্রযান-৩। তাই গোটা দেশে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সে হাওয়া লেগেছে ভারতীয় সিনেমা অঙ্গনেও। চন্দ্রাভিযানের গল্প সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চান নির্মাতারা। তাই একের পর এক আবেদন জমা পড়ছে প্রযোজনা সংস্থাগুলোতে। ভারতের খ্যাতিমান প্রযোজকদের নাম আছে এ তালিকায়।
ভারতে মুম্বাইভিত্তিক সিনেমা প্রযোজনা সংগঠনগুলোর মধ্যে ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান ফিল্ম প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএফপিএ), ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএমপিপিএ), ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডিউসারস কাউন্সিল (আইএফটিপিসি)-সহ আরও বেশ কিছু সংস্থা জানিয়েছে, চন্দ্রযান-৩-এর কাহিনি সিনেমার পর্দায় তুলে ধরতে এরই মাঝে তাদের কাছে অনেক আবেদন জমা পড়েছে।
ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অনীল নাগ্রাথ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমরা চার সপ্তাহ ধরেই প্রযোজকদের অনুরোধ পাচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৫ জন প্রযোজক ‘চন্দ্রযান কি যাত্রা’সহ আরও বেশ কিছু শিরোনামের সিনেমা নির্মাণের আবেদন করেছেন।’
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারস কাউন্সিল থেকে সুরেশ আমিন বলেন, ‘সব আবেদনে প্রায় একই ধরনের নাম পেলাম। মিশন চন্দ্রযান, চন্দ্রযান থ্রি, চাঁদ কি খোজ মে, হিন্দুস্তান কি শান চন্দ্রযান শিরোনামে অনেক আবেদন জমা পড়েছে। সব সংগঠন মিলেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
সুরেশ আমিন আরও বলেন, ‘আমরা ২৪ আগস্ট সন্ধ্যা থেকেই প্রযোজকদের আবেদন পাচ্ছি। শুধু মুম্বাই থেকেই আট থেকে দশটি আবেদন এসেছে। এ ছাড়া সারা দেশ মিলিয়ে প্রায় এক শ আবেদন জমা পড়েছে।’
নির্মাতাদের নাম প্রকাশ্যে না এলেও পরিচালক জগন শক্তি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে চান তিনিও। এর আগে ২০১৯ সালে ‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন এ পরিচালক। সিনেমায় ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) বিজ্ঞানীর চরিত্রে দেখা যায় অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে। আরও ছিলেন বিদ্যা বালান, সোনাক্ষী সিনহা ও তাপসী পান্নু। পরিচালক জগন শক্তি এবার সেই টিম নিয়েই চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের গল্প সিনেমার পর্দায় তুলে ধরতে চান। যদিও এ বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে অক্ষয়ের এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।