দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে ক্রিকেট শেখালো

সালেক সুফী

২০২৩ বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাও বাংলাদেশকে ক্রিকেট তেতো ক্রিকেট শেখালো।  ১৪৯ রানের বিশাল ব্যাবদলে ধানে পৰ্যায়ত হয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব কাপ মিশন ২০২৩ শেষ হয়ে গেলো। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার দাপুটে জয় ওদের সেমী ফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত করলো। ম্যাচ শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বাংলাদেশ অধিনায়ক ওয়ার্ল্ড কাপ শেষে সব কিছুর জবাব দিতে চেয়েছে। কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল সংগ্রহ ৩৮২/৫ তাড়া করতে নেমে ২৩৩ রানে তাসের ঘরের মত গুটিয়ে যাওয়া ইনিংস নিয়েও হয়তো ওনার কাছে ব্যাখ্যা দাবি করবে বাংলার সাংবাদিকরা।  উপেক্ষিত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ স্বভাব সুলভ ছন্দেই ১১১ রান করে তবুও কিছু সম্মান রক্ষা করেছে না হয় কুইন্টন ডি ককের করা ১৭৪ করতে পারতো না সবাই টুর্নামেন্টে মিলে।

মুম্বাই ওয়াংখেদে স্টেডিয়ামের প্রাণহীন উইকেট ,অপেক্ষাকৃত ছোট মাঠ।  এই মাঠে প্রথমে ব্যাটিং করা দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের নক দন্তহীন বোলিং তুলোধনো করে ৩৮২/৫ করেছিল সব বোলারদের নির্দয় প্রহার করে. কুইন্টন ডি কক ( ১৪০ বলে ১৭৪) , হেনরিক ক্লাসেন ( ৪৯ বলে ৯০) , এইডেন মারকরাম (৬৯ বলে ৬০) ডেভিড মিলার ( ১৫ বলে ৩৪) বাংলাদেশ বোলারদেরস্কুলের মেয়ে ক্রিকেটার বানিয়ে ফেলেছিলো। জবাবে একই উইকেটে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ঝরে গেলো বাংলাদেশ। তবুও রক্ষা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সভাভসুলভ ছন্দেই ১১১ বলে ১১১ রান করেছে। এই রান বাদ দিলে অন্য সবার অবদান ১২২।  অথচ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শেষ মুহূর্তে ক্রিকেট অনুরাগীদের চাপে দলে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশেষ করে বিশ্বকাপের আসরে কোথায় অবস্থান করছে সেটি আবার কাল হাতে নাতে প্রমান পাওয়া গেলো। ৫ টি ম্যাচে ৪ টিতে পরাজয় প্রতিটি বিশাল ব্যাবধানে।  কি জওয়াব আছে বিশাল বহরের টিম মানাজেমেন্টের ? আফগানিস্তান ,এমনকি নেদারল্যান্ডস এবারে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। ১০ জাতির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সবার নিচে।  আর নিচে নামার সুযোগ নেই. এর পরেও কি লজ্জাহীনদের লজ্জা হবে না?

দক্ষিণ আফ্রিকানদের প্ৰশংসা করতেই হয়।  এবারের টুর্নামেন্টে তিনটি বড় স্কোর ওদের ( শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ৪২৮/৫ , ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৯৯/৭ এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৮২/৫) . শেষ ১০ ওভারেই কাল সংগ্রহ করেছে ১৪৪ রান. কেবল মাত্র নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ওদের চির চেনা চোকার রূপ ফিরে আসা ছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে ওদের ভূমিকা বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মত।  কুইন্টন ডি কক নিজেই করেছে তিনটি শত রান. খুনে মেজাজে ব্যাটিং করছে হেনরিক ক্লাসেন , এইডেন মারকরাম , ডেভিড মিলার।  দেখতে হবে স্বাগতিক ভারত কিভাবে ওদের সামাল দেয়। আপাতত দেখা যাক বাংলাদেশ বাকি চারটি ম্যাচে অন্তত দুই একটি জয় পায় কিনা? কুইন্টন ডি কক , হেনরিক ক্লাসেনের ব্যাটিং দেখে বাংলাদেশের অনেক কিছুই শেখার আছে.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × 4 =