সালেক সুফী
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যাঙ্গালুরু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিউজিলান্ডের বিরুদ্ধে কাল ছিল পাকিস্তানের বাঁচা মরার লড়াই। টস জয় করে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করতে দিলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে ৪০১/৬ রানের বিশাল স্কোর করে। কিন্তু মরণপণ যুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পাকিস্তান খুনে ফখর জামান (১২৬* ) এবং কুশলী বাবর আজমের ( ৬৬*) ১৪৮ বলে অপরাজেয় ১৯৫ রানের পার্টনারশিপের সুবাদে ২৫.৩ ওভারে ২০১/১ উইকেটে পৌঁছানোর পর বৃষ্টি বিঘ্নিত হয়ে ম্যাচের পরিসমাপ্তি ঘটে. ডাকওয়ার্থ এবং লুইস পদ্ধতির হিসাবে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান। ৭ ম্যাচে ৪ জয়ে পাকিস্তানের সেমী ফাইনাল স্বপ্ন নতুন জীবন পায়। হচকিত নিউ জিল্যান্ডকে এখন লড়াই করেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হবে.
কাল বাট হাতে তরুণ তুর্কি রাচীন রবীন্দ্র (১০৮) ছিল ভৈরবী ছন্দে। আহত দলনায়ক কেন উইলিয়ামসন দলে ফিরেই উপহার দিলো ৯৫ রানের সাবলীল ইনিংস। ওদের যোগাযোগে দ্বিতীয় উইকেটে বিদ্যুৎ গতিতে যোগ হয়েছিল ১৮০ রান. দুরন্ত ছন্দে থাকা রাভিন্দ্রা টুর্নামেন্টে তৃতীয় শত রান অর্জনের পথে ১৫ টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছিলো। উইলিয়ামসন ইনিংসে ছিল চিরায়ত শৈল্পিক সুষমা। ১০ চার আর দুইটি ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংস। শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপ্স ( ৪১) এবং মার্ক চ্যাপম্যান ( ৩৯) যোগ করে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ৪০১/৬ বিশাল স্কোর তৈরী হলো. পাকিস্তানের বোলাররা কাল বেদম পিটুনি খেয়েছে। মোহাম্মদ ওয়াসিম ( ৩/৬০) সফল হলেও। শাহীন আফ্রিদি (০/৯০) , হারিস রউফ (১/৮৫) , হাসান আলী ( ১/৮২) বেধড়ক পিটুনি খায়.
এতো বড় স্কোরের চাপে দেখা গেছে অধিকাংশ দল নেতিয়ে পরে. কিন্তু কাল বীরের মোট লড়াই করেছে পাকিস্তান। বিশেষত ফখর জামান ছিল দুর্বিনীত। হাতের বাটকে তরবারি বানিয়ে ব্ল্যাক ক্যাপস বোলিং তুলোধুনো করেছে ফখর। ৮১ বলে অপরাজিত ইনিংসে ছিল ১১ টি বিশাল ছক্কা এবং ৮ টি দৃষ্টি নন্দন চার. ওকে যোগ্য সঙ্গে দিলো অধিনায়ক বাবর আজম অপরাজিত ৬৩ বলে ৬৬ রান করে। ২৫.৩ ওভারে ২০১/১ পৌঁছানোর পর বৃষ্টি নেমে খেলার অকাল মৃত্যু ঘটায়। ডাকওয়ার্থ এবং লুইস পদ্ধতির হিসাবে ২১ রানের জয়ে প্রাণ রক্ষা হয় মৃত্যু পথযাত্রী পাকিস্তানের। নিউ জিল্যান্ড ,পাকিস্তান ,আফগানিস্তান তিন দলেরই এখন সুযোগ আছে সেমী ফাইনাল খেলার। দুর্ভাগ্য ব্ল্যাক ক্যাপসদের ফখর জামানের খুনে ব্যাটিং এবং বৃষ্টির কারণে ৪০১ রান করেও হার মানতে হলো ওদের।