দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল ২০২৩-এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ডসে ২০২৩-এ মডেল স্টার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশে জেসিয়া ইসলাম। শীর্ষসারির মডেল ও ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জেসিয়া মোট ৭ দেশের প্রতিযোগী সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই সম্মননা অর্জন করেছেন।
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আগে জেসিয়া ইসলাম দেশের শীর্ষসারির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করেছেন এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন।
এশিয়া মডেল ফেস্টিভালের অংশ হিসেবে আরো অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেস অব এশিয়া ২০২৩। ২৫ দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ বছরের ফেস অব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ফাবলিয়া খান ও বি প্রসাদ দাস।
ফেস অব বাংলাদেশ-এর এ বছরের সিলেকশন রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে। একশ’র বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে ৮ জন ছেলে ও ৮ জন মেয়েকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এররপর অনলাইন ভোটিং ও বিচারকদের নির্বাচন পর্ব শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বিজয়ী হন ফাবলিয়া ও বি প্রসাদ।
আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি) ফেস অব এশিয়া মডেল ফেস্টিভালের বাংলাদেশের প্রতিনিধি। বাংলাদেশের মডলদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যেই নিজেদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে এএমটিসি।
এশিয়া মডেল ফেস্টিভালের বাংলাদেশ পর্বের যৌথ পার্টনার আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি) ও ক্রশওয়াক কমিউনিকেশনস। এএমটিসির স্বত্বাধিকারী আজরা মাহমুদ নিজেই। বাংলাদেশের মিডিয়ায় সুপরিচিত ও স্বনামখ্যত আজরা তাঁর এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে মডেল ও হবু মডেলদের এমনভাবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর যাতে তারা তাদের বৈশ্বিক প্রতিপযোগিদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশের ফ্যাশন ও মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে আজরা কাজে লাগাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের মডেলদের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা পূরণে। তিনি তাদের গড়ে তুলছেন সঠিক অনুশীলন ও গ্রুমিংয়ের মধ্যে দিয়ে; যাতে করে তারা হয়ে উঠতে পারে একেকজন যথার্থ পরিশীলিত ব্যক্তি হিসেবে।
এখানে উল্লেখ প্রয়োজন, এশিয়া মডেল ফেস্টভাল একটি কালচারাল কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম। এশিয়ার সব দেশের মডেলরাই এখানে অংশগ্রহণের পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে ঋদ্ধ করতে পারে। এই আড়ম্বরপূর্ণ আসরের আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।