সালেক সুফী
আজ ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর। ৫২ বছর আগে আজকের এই দিনে প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন সারভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। রণাঙ্গনে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধকালীন বন্ধু ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশকে হানাদার গণহত্যাকারী পাকিস্তান সেনাবহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত ছিল। একে একে সীমান্ত শহর মুক্ত হচ্ছিল। খোদ ঢাকায় ক্র্যাক প্লাটুনের বীর যোদ্ধারা চোরাগোপ্তা আক্রমণে দিশেহারা করে ফেলছিল পাকিস্তান বাহিনীকে। বিজয়ের চূড়ান্ত দিন ঘনিয়ে আসছিল।
এমনি এক ঐতিহাসিক দিনে ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নামবে নিউ জিল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে হোয়াইট ওয়াশ মিশনে। শক্তিশালী ব্ল্যাকক্যাপস বাহিনী সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৫০ রানে হেরে হোঁচট খেয়েছে। একই ধরনের ভুল ওরা বার বার করবে মনে হয় না। তাই বাংলাদেশকে সিরিজ জয় করতে হলে লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে সেরা খেলাটি উপহার দিতে হবে। সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহ, লিটন, এবাদত, তাসকিন বিহীন বাংলাদেশকে সিলেট টেস্টে হার না মানা উজ্জীবিত মনে হয়েছে। মানসিক ভাবে চাঙা থাকলে টাইগার বাহিনী প্রথম বারের মতো শক্তিশালী ব্ল্যাক ক্যাপস দলের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে হোয়াইট ওয়াশ করে সিরিজ জয় করা অসম্ভব কিছু হবে না।
টেস্টে টস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ঐতিহ্যগত ভাবে ধীর, নিচু এবং ঘূর্ণি প্রকৃতির হয়ে থাকে। শীতের সকালে প্রথম দিনের প্রথম সেশনে পেস বোলাররা কিছুটা সহায়তা পেলেও সময়ের সাথে সাথে বল গ্রিপ এবং টার্ন করে। টস জয়ী দল ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বাংলাদেশ টস জয়ী হয়ে ব্যাটিং করলে টপ অর্ডারের অন্তত দুইজনকে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করতে হবে।
ভরসা মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ প্রথম টেস্টে ভালো ব্যাটিং করেছে। অভিষেকে শাহাদাত দীপুকেও অপাক্তেয় মনে হয়নি। প্রথম ব্যাটিং করলে বাংলাদেশকে অন্তত চারটি সেশন খেলে ৩৫০-৪০০ করতে হবে। এই টেস্টে সম্ভাবনা আছে ডেভন কোনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, রাচীন রাভিন্দ্রা, ড্যারিল মিচেল ঘুরে দাঁড়ানোর।
অবশ্যই তাইজুল, মেহেদী মিরাজের কাছে ম্যাচ জয়ী অবদান আশা করা যায়। তবে উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে বাংলাদেশ দুইজন পেকার খেলায় কি না দেখতে হবে। অবশ্যই উইকেটের চরিত্র দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। টেস্ট শেষেই বাংলাদেশ সীমিত ওভা%