মাসুদ সেজান বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত নাট্য নির্মাতা। আজ এ সফল নাট্য নির্মাতার জন্মদিন। জয়পুরহাট জেলার শহরতলী মাদারগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ সৃজনশীল ব্যক্তি, ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন সময় সিনেমা দেখার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়ায় মা বাবার বকুনিও হজম করতে হয়েছিল সেদিনের সেই ছোট মাসুদকে। নাটক সিনেমার প্রতি অকৃত্রিম ঝোঁকের কারণেই মাধ্যমিকের পর ঢাকায় এসে যোগ দিয়েছিলেন নাট্যকেন্দ্রের সঙ্গে।
আবৃত্তি চর্চা ও মঞ্চ নাটক করতে করতেই একটা সময় হয়ে ওঠেন নাট্য নির্মাতা। খুব অল্প সময়েই মাসুদ সেজান তৈরি করে ফেলেন অর্ধ শতাধিক নাটক। যেগুলোর বেশিরভাগই দর্শক সমাদৃত হয়। ‘তুলারাশি’, ‘লেট লতিফ’ কিংবা ‘এইম ইন লাইফ’ এর মতো জনপ্রিয় নাটকগুলোর কারিগর তিনিই।
‘পাটিগনিত’, ‘পুতুল খেলা’, ‘লংমার্চ’, ‘রেড সিগন্যাল’, ‘নাইট গার্ড’, ‘প্রথম প্রেম’, ‘ভূত বাড়ি’, ‘শর্টকাট’, ‘অনুকরণ’, ‘পল্টিবাজ’, ‘অতঃপর টিয়া পাখি উড়িয়া চলিল’, ‘ফোর সাবজেক্ট’, ‘একদা এক বাঘের গলায় হাড় ফুটিয়া ছিল’, ‘সুখ টান’, ‘হাতেম আলী’, ‘শাড়ি’, ‘সংখ্যাতত্ত্ব’, ‘মায়াজাল’, ‘মগজ ধোলাই’, ‘মুদ্রা দোষ’, ‘সরফুদ্দিনের সংসার’, ‘মিথ্যুক’, ‘আই অ্যাম সরি’ প্রভৃতি নাটক ও টেলিফিল্মগুলোও মাসুদ সেজানই নির্মাণ করেন।
তিনি তার নাটকে দর্শকের একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনার জায়গায় নাড়া দিতে চেষ্টা করেন। কেননা, তার মতে- সমাজ বলি, রাষ্ট্র বলি- তার একক কিন্তু একজন মানুষ।