বন্ধু ফেরদৌসের জয়ে উচ্ছ্বসিত ঋতুপর্ণা

অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বাংলাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভীষণ জনপ্রিয়। সংসদ নির্বাচনে তার জয়ে উচ্ছ্বসিত পশ্চিমবঙ্গের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। গত সোমবার ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি সে কথা জানিয়েছেন।

বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। ফল ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানতে অভিনেতার প্রিয় বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম। উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী বলেন, ‘ফেরদৌসের জয়ে আমি অসম্ভব খুশি হয়েছি। ভোটে জিতে ফেরদৌস ফোন করেছিল। বলল, ‘আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু কোথায়? উদযাপন করব।’

ঋতুপর্ণা মনে করেন, এই জয় ফেরদৌসের প্রাপ্য। এই জয়ের পেছনে রয়েছে তার পরিশ্রম। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব কাছের বন্ধু। আমি সবসময় ওর মঙ্গল কামনা করি।’ঋতুপর্ণা জানান, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে তার অনেক দিনের। এ কথা অনেকবার ঋতুপর্ণাকে জানিয়েছিলেন ফেরদৌস।

অভিনয়ের বাইরেও ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা পারিবারিক বন্ধু। বন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুব খুশি ঋতু। তার মতে, এটা ফেরদৌসের অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। রাজনীতিতে তার মতো মানুষের খুব প্রয়োজন। ফেরদৌস যেমন ভালো অভিনেতা, তেমনি খুব ভালো মানুষ। রাজনীতিতে আসার আগেও সে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াত।

ফেরদৌস যখন সদ্য দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তখন শোনা গিয়েছিল, প্রয়োজনে অভিনেতার প্রচারেও অংশ নেবেন ঋতুপর্ণা। সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ঘটনা সত্য নয়। আমি বলেছিলাম, বন্ধুর যেকোনো ভালো কাজে সবসময় আমার নৈতিক সমর্থন থাকবে, বন্ধুর পাশে থাকব। কথাটিকে অপব্যাখ্যা করে প্রচারে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে হয়তো।’

ঋতুর একাধিক বন্ধু এখন রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। তারা সবাই কমবেশি সফল। তাদের দেখে ঋতুপর্ণার রাজনীতিতে আসতে ইচ্ছে করে? এ প্রশ্নের জবাবে ভারতের ওই সংবাদমাধ্যমকে ঋতু বলেন, ‘একটুও ইচ্ছে নেই। কারণ, রাজনীতি আমি বুঝি না। আমি আপাদমস্তক একজন শিল্পী।’ তবে তার যে বন্ধুরা রাজনীতিতে আসছেন, তাদের প্রতি ঋতুর আহ্বান, তারা যেন এই পেশার প্রতিও সৎ থাকেন। জনগণের উন্নতিতে যেন নিজেদের উৎসর্গ করেন।

ঋতু জানিয়েছেন, শিগগিরই ঢাকায় আসছেন তিনি। সে খবর দিয়ে বলেছেন, ‘নতুন কাজ নিয়ে কথা বলতে বাংলাদেশে যাব। তখন ফেরদৌসের বিজয় উদযাপন করব।’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nine + 7 =