সুষমা সরকার। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ তার জন্মদিন। তিনি নানুর বাড়ি টাঙ্গাইলে জন্ম গ্রহন করেন। তবে পৈতৃক নিবাস সাভারের ধামরাইয়ে। বাবা খরেন্দ্রনাথ সরকার এবং মা অঞ্জলী সরকার। তিনি মোহনগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন এবং ভারতেশ্বরী হোমস থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যলয় থেকে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত নিয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। তার ঘুরে বেড়ানো খুব শখ। তাছাড়া তিনি অভিনয় ছাড়া ভালো ডিজাইং করতে পারেন। প্রিয় চলচ্চিত্র অনেক তবে হীরক রাজার দেশে এবং গডফাদার দুটি উল্লেখ্যযোগ্য। প্রিয় ব্যক্তিত্ব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথম কাজ নাটক ‘সাদা মেঘের বৃষ্টি’। সব বই পড়তে ভালোবাসেন তবে হুমায়ূন আহমেদ ও হুমায়ূন আজাদ এর বই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সালে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। দেশ নাটকের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি অভিনয় করেছেন ‘বিরসাকাব্য’, ‘নিত্যপুরাণ’, ‘জনমে জন্মান্তর’সহ বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে। গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘সাদা মেঘের বৃষ্টি’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে নাটকে যাত্রা শুরু করেন সুষমা। ‘প্রজ্ঞা পারমিতা’, ‘বিজলি’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘সোনার সুতো’, ‘যুবরাজ’ প্রভৃতি তার অভিনীত নাটক। ২০১৬-এ, তিনি ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের চলচ্চিত্র বাদশা-দ্যা ডন অভিনয় করেছিলেন যেটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিৎ এবং নুসরাত ফারিয়া মাজহার। তার অভিনীত নারী নির্যাতনের ওপর নির্মিত একটি বিজ্ঞাপন বেশ আলোচিত হয়েছিল। এর বাইরেও দেশের কিছু বড় কোম্পানির বেশ কিছু পণ্যের মডেলও হয়েছেন সুষমা।
এছাড়াও চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছেন। ১০ জানুয়ারি ২০১৮-এ, এটি নিশ্চিতভাবে জানা গেছে সে নিত্যপূরান নাটকে দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১০ বছর পর তিনি মঞ্চে নাটকে ফিরে আসবেন, যেটি মাসুম রেজা কর্তৃক রচিত হয়েছিল। এই চরিত্রটিতে আগে বন্যা মির্জা এবং নাজনীন হাসান চুমকি এর মতো সিনিয়র শিল্পীরা অভিনয় করেন।