যুক্তরাজ্যের চ্যানেলে ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ফোর-এ প্রচারিত হবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। চলতি বছরের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে প্রচারিত হবে সিনেমাটি।

বলে রাখা প্রয়োজন, চ্যানেল ফোর-এ প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল তারেক মাসুদ এর ‘মাটির ময়না’। পরবর্তীতে আরও দুইটি বাংলা সিনেমা দেখানো হয়েছিল যার সবগুলোই ছিল তারেক মাসুদের নির্মাণ।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। আগামী জুন মাসের ৫ তারিখ শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ১২ দিন ব্যাপি অর্থাৎ শেষ হবে জুনের ১৬ তারিখ। এই উৎসবে সিনেমার পরিচালক, অভিনেত্রী ও প্রযোজক উপস্থিত থাকতে পারেন।

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ফিল্মমেকার হিসাবে এটা আমার জন্য ঈদের ডাবল আনন্দ হিসাবে এসেছে। ঈদে চরকিতে মুক্তি পেয়েছে মনোগামী, যেটা নিয়ে ‘উত্তপ্ত’  আলোচনা হচ্ছে। আমার ব্যাচেলর মুক্তি পাওয়ার পর এরকম ‘তীব্র’ প্রতিক্রিয়া দেখেছিলাম। দর্শকদের এই এঙ্গেজমেন্টে আমি খুবই আনন্দিত। তার সঙ্গে যুক্ত হলো সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফির এই খবর। চ্যানেল ফোর যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির টেলিভিশন। সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আমি কৃতজ্ঞ। যারা যারা মনোগামী দেখেছেন, অটোবায়োগ্রাফি দেখেননি, তাদের আমন্ত্রণ জানাই চরকিতে দেখে ফেলার।

অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফির জন্য দর্শকদের যে ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনও পাচ্ছি, এটা অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার জন্য খুবই ইন্সপায়ারিং। কিছু কাজ মানুষের মনের ভিতরে গিয়ে স্পর্শ করে। এটা সেরকম কাজ। আমার দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের ভালোবাসার জন্য।

চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’-প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজেই নির্মাণ করছেন দুইটি সিনেমা। দুইটি সিনেমা ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে চরকিতে।

চলতি মাসে অর্থাৎ এই ঈদেই চরকিতে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর আরেক সিনেমা ‘মনোগামী’। যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে তুমুল আলোচনা।

উলেখ্য, ‘অটোবায়োগ্রাফি’ বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের ২৮ তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছিল। কিম জিসুক প্রতিযোগিতা বিভাগে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। মুম্বাইয়ের জিও মামি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখানো হয়েছিলো ‘সাউথ এশিয়ান আইকন’ বিভাগে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

15 − ten =