সালেক সুফী
পাঁচ ম্যাচ ডাচ বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টি বাধা পেরিয়ে সহজ জয়ে ২-০ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। আবারো টস জয় করে বোলিং করলো বাংলাদেশ। আবারো ভালো বোলিং ফিল্ডিং করে অতিথি দলকে ১৩৮/৭ সীমিত রাখে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টি দুইবার বাধা সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং গভীরতা (১৪২/৪) ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় এনে দেয়। ২-০ ম্যাচে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয় এমনকি ধবল ধোলাই অর্জনের সম্ভাবনা।
ম্যাচে কালও বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ শুরুতেই জিম্বাবোয়েকে চেপে ধরে। ১০.২ ওভারে ৫ উইকেট হারানো অতিথি দল তরুণ ব্রায়ান বেনেট (৪৪) এবং জোনাথন ক্যাম্পবেলের (৪৫) ৬৩ রান জুটির কল্যাণে জিম্বাবোয়ে ১৩৮/৭ করতে পারে। উইকেট অনুযায়ী এই রান পর্যাপ্ত ছিল না। বাংলাদেশের পেস, স্পিন বোলাররা সবাই ভালো বোলিং করেছে বলা চলে। তবুও শুরুতে অতিথি দলকে চাপে ফেলার পরেও অতিথি দলের মিডল অর্ডারে জুটি গড়াকে অর্জন বলতেই হবে। তাসকিন (২/১৮) , রিশাদ হোসেন (২/৩৩) কাল ছিল সফল বোলার।
বাংলাদেশের ইনিংসে কাল শুভ সূচনা করেছিল লিটন দাস (২৩) এবং তানজিদ তামিম (১৮)। ৫.৫ ওভারে ৪১ রান সংগ্রহের পর ফিরে যায় তানজিদ। সেখান থেকে ভালো গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিলো লিটন শান্ত। বৃষ্টি নেমে খেলায় বিঘ্ন ঘটে। বৃষ্টি বিরতির পর অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হবার চেষ্টায় দ্রুত শান্ত, লিটন ফিরে গেলে চাপ সৃষ্টি হয়।
উইকেটে এসে জাকের আলী ভালো শুরু করেও এনগ্রাভার একটি চমৎকার বলে আউট হয়। ৯৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তরুণ তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধে বিশ্বস্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের ১৭ম ওভারে ১৬ এবং ১৮ম ওভারে ১৫ রান তুলে এই জুটি দলকে ৯ বল বাকি হাতেই ৬ উইকেটের সহজ জয় এনে দেয়।
প্রথম ম্যাচের পর কাল দ্বিতীয় ম্যাচেও ২৫ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করে তাওওহীদ হৃদয় তার পরিণত হবার ধারা অব্যাহত রাখে। বিশস্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে অপরাজিত ২৬ রান। আমি বাংলাদেশের জয় খাটো করে দেখবো না। তবুও বলবো লিটন, শান্তর আরো দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত ছিল।
২-০ ম্যাচে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ তৃতীয় ম্যাচে তরুণ পারভেজ ইমনকে পরখ করে দেখতে পারে। জানিনা মুস্তাফিজকেও পরবর্তী ম্যাচে খেলানো হবে কি না। না হলে কেন তাকে ডেকে আনা হলো? প্রথম ম্যাচের তুলনায় কাল অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেছে অতিথি দল। বৃষ্টি ভেজা মাঠে বোলিং ফিল্ডিং করা সহজ ছিল না।