সিরিজ হোয়াইটওয়াশ ট্রমা গ্রাস করেছে বাংলাদেশকে

সালেক সুফি

সিরিজের ট্রমায় দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ ভেবেছিল যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর কাছাকাছি তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের জন্য উইকেট এবং কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের 19 নম্বর নিচে (9 নম্বরে) নরম বিরোধী দল হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা নিশ্চিত নই যে বাংলাদেশ কিছুটা আত্মতুষ্টিতে ছিল নাকি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল প্রথম দুই ম্যাচ খুব খারাপ ক্রিকেট খেলে হেরেছে। এখন তারা অপমানজনক সিরিজ হোয়াইট ওয়াশের দ্বারপ্রান্তে।

এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে, এমন উল্টোটা ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনার ওপর অন্ধকার ছায়া ফেলেছে। বিশ্ব ক্রিকেটের বিস্তৃত জ্ঞান থাকা ক্রিকেট বিশ্লেষকরা অবশ্য এটাকে প্রাকৃতিক ফলাফল হিসেবে বিবেচনা করছেন। গত দুই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শোচনীয় পারফরম্যান্সের পর প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের রিসোর্স বেস বাড়ানো ও প্রসারিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়নি বিসিবি। নির্বাচকরা যথেষ্ট ভালো দল বাছাই করার জন্য সত্যিকারের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের খুব সীমিত গরিব রেখেছিলেন। এর সাথে যোগ করুন বিসিবির একটি বিশেষ দুষ্ট সিন্ডিকেটের পছন্দ-অপছন্দ যার কারণে মেহেদী হাসান মেরাজ এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন দলে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

ফর্মহীন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ও ম্যাচ আনফিট তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়ক রেখেই যুক্তরাষ্ট্রে গেছে বাংলাদেশ। স্কোয়াডে থাকা তিন ওপেনার লিটন কে দাস ও সৌম্য সরকারও ফর্মে নেই। দলে শুধুমাত্র সাকাইব আল হাসান ও মাহমুদদুলাহ রিয়াদকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের দক্ষতা ও মেজাজের অধিকারী ধরা যেতে পারে। তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, রিয়াশাদ হোসেন অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু খুবই কাঁচা। এমন দল থেকে ডেলিভারি আশা করা যায় না। তাছাড়া ঘরের মাঠে জিমাবাবুয়ের বিপক্ষে খুব বেশি উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের পর দলটিকে খুব একটা ভালো মনে হয়নি। এমন একটি দল উত্তেজিত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলতে পারেনি।

দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিং খুবই খারাপ। টপ অর্ডার টপসি এলোমেলো দেখাচ্ছিল, মিডল অর্ডার ডেলিভারি করেনি। বোলারদের পারফর্ম করার জন্য খুব সীমিত জায়গা দেওয়া হয়েছিল। সিরিজটি হারিয়েছে এবং এখন অপমানজনক হোয়াইট ওয়াশের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

লিটন ও সৌম্য ক্লিক করেননি। তরুণ তানজিদ তামিমকে জুটি করার জন্য দলে আর কোনো বিকল্প নেই। নাজমুল শান্তর ব্যাটে নিজের বাজে পারফরম্যান্সই প্রতিফলিত হয়েছে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতায়। তিনি বেশ কিছু কৌশলগত ভুল করেছেন। ভাবছেন টিম ম্যানেজমেন্ট কি করছে? দলের মেন্টরিং দরকার। নিঃসন্দেহে দলটি পারফর্ম করছে। এমনকি সাকিবকেও তার আসল উপাদানে দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশকে যদি ঘুরে দাঁড়াতে হয় এবং সিরিজে কিছুটা গৌরব বাঁচাতে হয় সাকিব ও রিয়াদের শেষ হিসেবে সোনালী প্রজন্মের কাঁধে দল। আবারও হার দলের মনোবলে বড় ধাক্কা দেবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × 5 =