বাঁ-হাতি পেসার ফজলহক ফারুকির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নৈপুণ্যে বড় জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু করেছে আফগানিস্তান। আজ ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান ১২৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামা উগান্ডাকে। রান বিবেচনায় নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় আফগানদের। বিশ^কাপের মঞ্চে এটি চতুর্থ বড় জয় যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের । বল হাতে ৯ রানে ৫ উইকেট নেন ফারুকি।
গায়ানায় টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে আফগানিস্তান। ১৪ দশমিক ৩ ওভারে ১৫৪ রান যোগ করেন আফগানদের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে এটি দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি।
দুর্দান্ত সূচনার পর ২ রান ও ৫ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন ইব্রাহিম ও গুরবাজ। ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে উগান্ডার লেগ স্পিনার ব্রায়ান মাসাবার বলে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৬ বলে ৭০ রান করা ইব্রাহিম। পরের ওভারে বাঁ-হাতি স্পিনার আলপেশ রামজানির বলে আউট হবার আগে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ।
দুই ওপেনারের দেড়শ রানের জুটিতে ২শ পেরিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছিলো আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ২৭ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় আফগানরা। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। পরের দিকে মোহাম্মদ নবি অপরাজিত ১৪ রান করেন। উগান্ডার পেসার কসমাস কিউটা ২৫ রানে ২ উইকেট নেন।
১৮৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ফারুকি ও নাভিন উল হকের বোলিং তোপের মুখে পড়ে পঞ্চম ওভারে ১৮ রানে ৫ উইকেট হারায় উগান্ডা। এসময় ২টি করে উইকেট নেন ফারুকি ও নাভিন।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও, মাঝের ওভারে ফারুকি ও অধিনায়ক রশিদ খানের দারুন বোলিংয়ে ১৬ ওভারে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের চতুর্থ সর্ব নিম্ন ৫৮ রানে অলআউট হয় উগান্ডা। উগান্ডার পক্ষে মাত্র দুই ব্যাটার দুই অংকের কোটা পার করতে পারেন। রবিনসন ওবুয়া সর্বোচ্চ ১৪ ও রিয়াজাত আলি শাহ ১১ রান করেন।
আফগানিস্তানের ফারুকি ৪ ওভার বল করে ৯ রানে ৫ উইকেট নেন। ৩৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেন ফারুকি। বিশ্বকাপে চতুর্থ ও আফগানিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সেরা বোলিংয়ের নজির গড়লেন ফারুকি। এছাড়া নাভিন ও রশিদ ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ফারুকি।
বাসস