ইতালিকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ড

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে উজ্জীবিত সুইজারল্যান্ড। মুরাত ইয়াকিনের দল যোগ্য হিসেবেই এই জয় তুলে নিয়েছে। দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি বার্লিনে শেষ শোষর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। শেষ আটে সুইসদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মধ্যকার বিজয়ী দল।

৩৭ মিনিটে রুবেন ভারগাসের এ্যাসিস্টে রেমো ফ্রুলার গোল করে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। ৪৬ মিনিটে ভারগাস নিজেই কার্লিং শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। নতুন চেহারার ইতালি পুরো আসরে তারকাদের অনুপস্থিতি দারুনভাবে অনুভব করেছে। ইউরো ২০২০ জয়ী দলের অনেকেই বর্তমান দলটিতেই নেই। সুইজারল্যান্ডের সাহসী ও দূরন্ত পারফরমেন্সের বিপরীতে ইতালি কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।

আর্সেনালের সাবেক মিডফিল্ডার গ্রানিথ জাকা জার্মান বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনের হয়ে দারুন এক মৌসুম কাটানোর পর ইউরোতে খেলতে এসেছেন। সুইসদের জয়ের পিছনে তারও দারুন অবদান রয়েছে।

ইতালিয়ান কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি গ্রুপ পর্বের ফর্মহীনতার কারনে জর্জিনহোকে দলের বাইরে রেখেছিলেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন নিকোলো ফাগিওলি। আজ্জুরিদের ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে আনার তাগিদে স্পালেত্তি কাল ছয়টি পরিবর্তন করেও ফল পাননি। ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ফাগিওলি প্রথমবারের মত বড় কোন টুর্ণামেন্টের মূল দলে খেলতে নেমেছিলেন। জুভেন্টাসের হয়ে মৌসুমের বেশীরভাগ সময়ই তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ফুটবল ম্যাচে বেটিংয়ের কারনে তাকে সাত মাস নিষিদ্ধ করেছিল সিরি-এ।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জাকাগনির গোলে ১-১ গোলে ড্র করে নক আউট পর্বের টিকেট পায় ইতালি। ঐ ম্যাচের পরই স্পালেত্তি সতর্ক করে বলেছিলেন নক আউট পর্বে তার দলের উন্নতির বিকল্প নাই।

কিন্তু সবদিক থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সুইজারল্যান্ড কাল মাঠে নেমেছিলেন। এ পর্যন্ত আসরের সেরা পারফরমেন্স উপহার দিয়েই তারা ইতালিকে বিদায় করেছে। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ইতালি সেদিক থেকে নিজেদের নামের প্রতি কোন বিভাগেই সুবিচার করতে পারেনি। ইতালি দলের ডেলিগেশন প্রধান সাবেক গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি বুফন সুইসদের এই পারফরমেন্সে মোটেই বিস্মিত হননি। একইসাথে ইতালির পারফরমেন্সে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

২০২০ ইউরো জয়ী দলের নির্ভরতার প্রতীক  ছিলেন পিএসজি গোলরক্ষ গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। প্রথমার্ধে ব্রিল এম্বোলোকে হতাশ করে সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে যেতে দেননি ডোনারুমা। কিন্তু ৩৭ মিনিটে আর শেষ রক্ষা হয়নি। ফ্রুলারকে আটকানোর সাধ্য ছিলনা ডোনারুমার। ভারগাসের লো ক্রস থেকে ফুলার পোস্টের কাছে থেকে বল জালে জড়ান। ফাবিয়ান রাইডার্সের ফ্রি-কিক দুর্দান্তভাবে রুখে দিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি ডোনারুমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অসবার্গের মিডফিল্ডার ভারগাস অসাধারণ কার্লিং শটে ডোনারুমাকে পরাস্ত করেন।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × 3 =