ম্যাচে টিকে আছে বাংলাদেশ

সালেক সুফী

বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম দিনশেষে টস হেরে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ৪১ ওভারে করেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮। আগের রাতের বৃষ্টির কারণে ভেজা  আউটফিল্ড শুকিয়ে খেলা শুরু করতে দিনের অর্ধেক খেলা সম্ভব হয়নি। সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত উইকেটে ময়েশ্চার ছিল। শুরুতে শরিফুল, হাসান মাহমুদ উইকেটের সাহায্য নিয়ে দ্রুত তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ৩/১৬ পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিলো।

আব্দুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ, বাবার আযমকে হারিয়ে পাকিস্তান কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। এই সময়ে বাংলাদেশের পেসাররা সঠিক লাইন নিশানা বজায় রেখে আর একটি উইকেট তুলে নিলে ম্যাচের নিরংকুশ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারতো। দুই তরুণ সাঈম আয়ুব ( ৫৬ ) এবং সাউদ শাকিল (৫৭*) দেয়ালে পিঠ রেখে লড়াই করে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৮ রান যোগ করে ভূমি ধস সামাল দেয়।

শেষ দিকে হাসান মাহমুদ সাঈম আয়ুবকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আবারো ম্যাচে ফিরিয়েছে। উইকেটে আছে পাকিস্তানের শেষ ভরসা শাকিল এবং রিজওয়ান।  ইতিমধ্যে অবিচ্ছিন্ন ৫ম উইকেটে ৪৪ রান যোগ হয়েছে। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সকালে চট জলদি একটি দুটি উইকেট তুলে নিলে বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পাকিস্তানের স্কোর ২৫০ পেরিয়ে গেলে এই উইকেটে চার উঁচু মানের পেস বলার সমৃদ্ধ পাকিস্তান আক্রমণ নিয়ে ম্যাচ কঠিন করে দিবে বাংলাদেশের জন্য। আমি মনে করি বাংলাদেশ প্রথম দিন উইকেট এবং প্রতিপক্ষ অনুযায়ী ভালো বোলিং ফিল্ডিং করেছে। শরিফুল, হাসান প্রথম স্পেলে ভালো বোলিং করেছে। জাকির, লিটনের ক্যাচ গুলো দর্শনীয় ছিল।

তবে সবুজ ঘাসের উইকেটে বাংলাদেশ পেসাররা ধারাবাহিকভাবে সঠিক লেংথে বোলিং করেনি। উইকেট শুকিয়ে যাওয়ার পর সিম মুভমেন্ট ছিল না। দ্বিতীয় দিন রিজওয়ানের উইকেটটি অনেক মূল্যবান। অবশ্য ভালো খেলছে সাউদ শাকিল।

একটি উইকেট নিতে পারলে উইকেটে আসবে ব্যাটিং অল রাউন্ডার সালমান আগা।  তার পরেই উন্মুক্ত হবে লম্বা লেজ। যে কোন ভাবে পাকিস্তানকে ২৫০ রানে সীমিত রাখলে বাংলাদেশ ম্যাচে টিকে থাকবে। দিনশেষে বলবো বাংলাদেশ চুলচেরা ব্যাবধানে এগিয়ে আছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen + two =