সুরের রাজা প্রিন্স মাহমুদের জন্মদিন

মাসুম আওয়াল

নব্বই দশক থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের গান পাগল সব মানুষের কাছেই প্রিন্স মাহমুদ অন্যরকম এক আবেগের নাম। একইসঙ্গে তিনি একজন গীতিকবি ও সুরকার। গানও গেয়েছেন তবে খ্যাতি পেয়েছেন গীতিকার ও সুরকার হিসেবেই। তার সুরের কারুকাজ সব বয়সের শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছে প্রায় তিন দশক ধরে। এখনো তার নতুন গানের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন ভক্তরা।

সেই ফিতার ক্যাসেটের সময় থেকে শুরু। ক্যাসেটের কাভারে গানের শিরোনাম দেখে গান শোনা হতো যখন। ফিতা টেনে প্রিয় গানটি বার বার শোনা হতো। সেই সময়েই সুপার হিট ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। তার সুর করা গান গেয়ে তারকা হয়েছেন অনেক শিল্পী।  প্রিন্স মাহমুদের সুরে মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ মানেই প্রায় সবকটা গান হিট। এরপর সিডির সময়েও শ্রোতাদের মাতিয়েছেন প্রিন্স। মাঝে বেশ কিছুদিন একপ্রকার বিরতিই নিয়েছেন। কাজ করেছেন খুব কম। অডিও জগতের এই সুরের রাজা সিনেমার গান দিয়ে হঠাৎ করেই ফেরেন রাজকীয় ভাবে। ১৭ জুলাই এই গুণী মানুষটির জন্মদিন। রঙবেরঙের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন সুরের রাজা প্রিন্স মাহমুদ।

এক দশক আগের কথা

তখন একটি গণমাধ্যমে কর্মরত আমি। অফিস থেকে বলা হলো প্রিন্স মাহমুদের সাক্ষাৎকার নিতে হবে। ফোন নাম্বার যোগাড় করলাম তার। একবার ফোন করতেই ধরলেন। প্রথমবারে ফোন ধরতেই খুশি আমি। মনে মনে ভাবছি ইন্টারভিউ পাচ্ছি! কিন্তু হলো না। আবারও ফোন করতে বললেন অন্য সময়। দু’একদিন বাদে আবারও ফোন করতে বললেন। কল দিতেই বললেন, মাসুম স্যরি আবারও দু’একদিন বাদে ফোন করো। এইভাবে চলতে থাকলো বেশ কিছুদিন। না করতেন না কখনই। কথা বলতেন খুব বিনয়ের সঙ্গে। এক সময় আমার মনে হলো, ইন্টারভিউটা দিতে মনে হয় ইচ্ছুক নন তিনি। সেই ইন্টারভিউ আর নেওয়া হয়নি।

একদিন রাতে বাসার সামনে

বিভিন্ন অডিও-ভিডিও অ্যালবামের প্রকাশনা উৎসব কিংবা সংগীতবিষয়ক নানা অনুষ্ঠানে মাঝে মধ্যেই দেখা হতো গুণী এই মানুষটির সঙ্গে। প্রয়োজনে নিউজ বাইটও দিতেন প্রিন্স মাহমুদ। বেশ খোস মেজাজেই কথা বলেন সব সময়। সময় এভাবেই কাটতে থাকে। একদিন প্রায় রাত ২টায় একটা ফোন এলো। সংগীত জগতেরই এক বড় ভাইয়ের ফোন। ‘মাসুম তোমার বাসার সামনে আছি।’ বকশিবাজারে থাকতাম তখন। বের হয়ে আসলাম রাস্তায়। গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। বড় ভাই বললেন, প্রিন্স মাহমুদ আছেন ভেতরে। দেখি জানালা দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন প্রিন্স মাহমুদ। বরাবরের মতই সহজ তিনি। বললেন, মাসুম কেমন আছো? তোমার ইন্টারভিউটা দেওয়া হলো না। যে হাউজের জন্য ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছিলাম তখন আমি সে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে। এখন যেমন প্রায় গণ্যমাধ্যমে কথা বলছেন এই সুরকার তখন নিজেকে কিছুটা রিজার্ভই রাখতেন তিনি। আরও কয়েক বছর পর ঢাকা ছাড়লাম। অনেকদিন দেখা হয়নি গুণী মানুষটির সঙ্গে।

গোপালগঞ্জ টু খুলনা

প্রিন্স মাহমুদের জন্ম ১৭ জুলাই গোপালগঞ্জে তার নানাবাড়িতে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে তার ছেলেবেলার অধিকাংশ সময় কেটেছে খুলনায়। ফলে খুলনার সাংস্কৃতিক আবহ তার গানে বেশ প্রভাব ফেলেছে। ১৯৮৪ সালে সেন্ট জোসেফ্স উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। বাংলা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন।

শিল্পী হতে চেয়েছিলেন

সংগীতের প্রতি তার অনুরাগ ছিল ছেলেবেলা থেকেই। তবে বাড়ির কেউই জানতেন না তাদের ছেলে শিল্পী হতে চায়। ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালে নতুন কুঁড়িতে অংশগ্রহণ করেন প্রিন্স। একাই গিয়েছিলেন তিনি। প্রত্যেক প্রতিযোগীর সঙ্গে বাবা-মাসহ আরো অনেকে গেলেও প্রিন্স মাহমুদের ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা ছাড়া সঙ্গী কেউ ছিল না। মাধ্যমিকে উঠে পাঁচ বন্ধু মিলে ব্যান্ড দল ‘দি ব্লুজ’ গঠন করেন প্রিন্স। মাইলস, বিটলস, ফিডব্যাকসহ আরো অনেকের গান এতো বেশি শুনতেন যে, পড়ালেখাটাই তখন সবচেয়ে বিরক্তিকর মনে হতো। দি ব্লুজ ব্যান্ডের ভোকালিস্টও ছিলেন তিনি। নিজে গান লিখে সুর করতেন। তারপর স্টেজ পারফরম্যান্স। ততোদিনে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ লাইফও শেষ প্রায়। এ সময় সাউন্ডটেকের সত্ত্বাধিকারী সুলতান মাহমুদ বাবুল তাকে ইংরেজি গানের কপি করতে বলেন। সবমিলিয়ে গানের সঙ্গেই পথচলা শুরু হয় তার।

ছেলেবেলায় প্রিন্স মাহমুদ গান শিখেছেন খুলনার ওস্তাদ রাশেদ উদ্দিন তালুকদারের কাছে। উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ অশেষ চক্রবর্তীর কাছে। বাসায় গানের প্র্যাকটিসের সুযোগ না থাকায় খুলনা নজরুল একাডেমিতে গিয়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করতেন। এছাড়া ৯০ দশকের শুরুতে প্রিন্স গঠন করেন ‘ফ্রম ওয়েস্ট’ নামক একটি ব্যান্ড। সে সময় ব্যান্ড দলটির লিডার এবং মূল ভোকাল ছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। সেই দলের আলোচিত একটি গান ছিল ‘রাজাকার আলবদর কিছুই রইব না রে/ উপরে দালাল ভিতরে চোর কিছুই হইব না রে/ সব রাজাকার ভাইসা যাইব বঙ্গোপসাগরে।’ তবে নিজে বেশিদিন গান করেননি প্রিন্স। শিল্পীদের জন্য গান বাঁধতে শুরু করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পর শূন্য দশক থেকে আজ পর্যন্ত নতুন সব শিল্পী তার কথা ও সুরে গান করার জন্য উদগ্রীব থাকেন।

গানের অ্যালবাম প্রকাশ

নব্বইয়ের শুরুর দিকে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে ব্যান্ড মিক্সড বা মিশ্র অ্যালবামের প্রচলন শুরু করেন আর্কের দলনেতা আশিকুজ্জামান টুলু (চাইম)। বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের ইতিহাসে প্রথম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম ‘স্টারস’ ও এর সফল ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে আশিকুজ্জামান টুলুর সুরবিন্যাস ও সংগীতায়োজনে প্রকাশিত হয় ‘স্টারস ২’। এই ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম যখন শুরু হয় তখন বিদেশি জনপ্রিয় কিছু গানের অনুকরণে ‘যন্ত্রণা’ নামে একটি ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয় প্রিন্স মাহমুদের। এরপর ‘রকস্টারস’ নামের মৌলিক গানের ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ করেন। ‘রকস্টারস’ অ্যালবামের ১০টি গানের কথা ও সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের। এভাবেই চলছিল। কিন্তু ১৯৯৪-৯৫ সালে ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবামের জোয়ারে হঠাৎ করে ‘শক্তি’ নামের একটি অ্যালবাম বাজারে ঝড় তোলে। ‘শক্তি’ অ্যালবামের পেছনে আমাদের সেই চেনা প্রিন্স মাহমুদ অচেনাভাবে দেখা দেন। অন্যরকম এক প্রিন্স মাহমুদকে পায় শ্রোতারা। আজম খান, আইয়ুব বাচ্চু, নকিব খান, জেমস, বাবনা, ফজল পার্থ’র মতো সেরা ব্যান্ডের সেরা কণ্ঠগুলোকে একত্রে করে অসাধারণ এক সৃষ্টি করলেন যাতে সব শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে গেলো। চমৎকার সব পরিবেশনা সমস্ত অ্যালবাম জুড়ে। প্রতিটি গানের কথা সুর ও সংগীতায়োজনে নান্দনিকতার ছোয়া স্পষ্ট।

এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। প্রথম অ্যালবাম থেকেই করেছেন নিজের মনের মতো গান। গানের কথা সুর ও সংগীতায়োজন ছিল বরাবরই নান্দনিকতায় ভরপুর। অ্যালবামের ১২টি গানের মাঝে ৮টি গানের সুর ও সংগীত ছিল প্রিন্স মাহমুদের, যার সবগুলোই ছিল দুর্দান্ত। ‘শক্তি’ এই একটি মাত্র অ্যালবাম দিয়েই বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করে নিয়েছিলেন। শ্রোতাদের উচ্ছাস ও আস্থাকে আরো বাড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ওরা ১১ জন’। ৪টি গান লেখার পাশাপাশি এই অ্যালবামের ১০টি গানের সুর ছিল প্রিন্স মাহমুদের। যা ‘শক্তি’ অ্যালবামের মতো আবারো সুপারহিট। এই অ্যালবামে নতুন এলেন চন্দন (উইনিং), টিপু (অবসকিউর), খালিদ (চাইম) ও বিপ্লব (প্রমিথিউস)। আবারো আইয়ুব বাচ্চুর গান হিট, সাথে হিট হলো তুমি ‘যেন আমি করেছি ক্ষমা’ (চন্দন) , ‘এখন তুমি সুখে নেই’ (ফজল), ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু হবো’ (টিপু), ‘কিভাবে কাঁদাবে’ (খালিদ) এবং গুরু আজম খানের ‘অশ্রুলেখা’ গানগুলো। যা ছিল রীতিমতো দারুন কিছু। শ্রোতারা বুঝে গেলো ‘প্রিন্স মাহমুদ’ মানেই দারুন কিছু গান। প্রিন্স মাহমুদ হয়ে গেলেন শ্রোতাদের আস্থার প্রতীক। আর তাই অডিও ক্যাসেটের গায়ে ‘প্রিন্স মাহমুদের সুরে’ এই কথাটি লেখা হয়ে গেলো দারুন সুন্দর গানের একটি ‘ব্র্যান্ড’। ক্যাসেটের প্রচ্ছদে শ্রোতারা ‘প্রিন্স মাহমুদের সুরে’ লেখা দেখতে পেলে আর কিছুই খুঁজতো না, খোঁজার প্রয়োজনও ছিল না। এভাবেই অডিও ইন্ডাস্ট্রি, শ্রোতাদের কাছে তথা বাংলা গানের উত্তরণে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ হয়ে গেলেন খুব প্রিয় একটি নাম, খুব আস্থার একটি নাম। হারিয়ে গেলো ব্যান্ডের ‘গিটারিস্ট’ ও ‘ভোকালিস্ট’ প্রিন্স মাহমুদ।

শ্রোতাদের তাতে অভিযোগ নেই, কারণ প্রিন্স মাহমুদকে যেভাবেই পাচ্ছি না কেন দারুন কিছু তো পাচ্ছি; এটাই বড় পাওয়া। নতুন প্রিন্স মাহমুদ তো আরও উজ্জ্বল, আরও দুর্দান্ত। তাই শ্রোতারা সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদকেই বেশি বেশি পেতে চাইলো। শ্রোতারা পেয়ে গেলেন আধুনিক গানের শিল্পী তপন চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, খালিদ হাসান মিলু, আগুন কে নিয়ে ‘জয় পরাজয়’ অ্যালবাম দিয়ে। ‘প্রিন্স মাহমুদ হেড়ে গলার ড্রামস গিটারের কিছু ব্যান্ড গানই করতে পারে, আধুনিক গান প্রিন্স মাহমুদকে দিয়ে সম্ভব নয়’ বলে যারা প্রিন্স মাহমুদের সমালোচনায় মুখর ছিলেন, তাদের মুখ বন্ধ করতেই আসে ‘জয় পরাজয়’, যা ছিল ব্যান্ড সংগীতের প্রিন্স মাহমুদের অন্য আরেক মুগ্ধতার প্রমাণ। ‘জয় পরাজয়’ অ্যালবামের পর প্রিন্স মাহমুদ এলেন ‘ক্ষমা’ অ্যালবাম নিয়ে। এবারও শ্রোতারা বিস্মিত কারণ এই ক্ষমা অ্যালবামের মাধ্যমেই প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে প্রথমবারের মতো গান করেন মাকসুদুল হক (মাকসুদ ও ফিডব্যাক), খালিদ (চাইম), চন্দন (উইনিং) ও টিপু (অবসকিউর)। শুধু ‘ফিডব্যাক’ এর মাকসুদুল হক নন আর্কের সাথে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয় মূলত এই অ্যালবামের মাধ্যমেই। আর্কের দলনেতা শক্তিমান গীতিকার ও সুরকার আশিকুজ্জামান টুলু এই প্রথমবারের মতো কণ্ঠ দেন প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে এবং সেইসাথে বাংলা ব্যান্ড মিউজিকে সংযোজিত হয় আরেক অনবদ্য সংগীতের। এছাড়াও এই অ্যালবামে আরো ছিলেন গুরু আজম খান (উচ্চারণ), বাবনা (ওয়ারফেইজ), ফজল (নোভা), পলাশ (অরবিট), বগি (রেঁনেসা), পার্থ (সোলস) ও ইকবাল আসিফ। বেশকিছু গান তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পায় তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘অশ্রু মুছে তুমি তাকাবে/ মনকে আলোকিত করবে/  খালিদ (চাইম), ‘কেন মন নিয়ে এত দাও যন্ত্রনা/ মাকসুদুল হক এবং টিপুর ‘চাঁদ জাগা এই রাতে/ দুচোখের বরষায় ভিজে/’ গানগুলো তুমুল শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।

সিনেমার গানেও আলোচনায়

সম্প্রতি পর পর দুই সিনেমায় তিনটি জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। প্রথমেই ‘ঈশ্বর’, এরপর ‘বরবাদ’ ও ‘মা’। ঈশ্বর গান দিয়ে তিনি জানান দেন, প্রিন্স মাহমুদ ফুরিয়ে যাননি। লম্বা ক্যারিয়ারের শেষ ভাগে এসে সিনেমার গানে প্রিন্স মাহমুদের রাজকীয় উত্থান হয়েছে। সিনেমায় তাকে দমিয়ে রাখা হয়েছিল দীর্ঘকাল। প্রিন্স মাহমুদের মতো মানুষকেও হতে হয়েছিল গান পলিটিক্সের শিকার! অবশেষে শাকিব খানের প্রিয়তমা সিনেমার ‘ঈশ্বর’, রাজকুমার সিনেমার ‘বরবাদ’ দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিলেন প্রিন্স। ‘ঈশ্বর’, ‘বরবাদের’ পর এবার শ্রোতারা প্রেমে পড়লেন রাজকুমার সিনেমার আরেক গান ‘মা’-এর। ‘ঈশ্বর’ গেয়েছিলেন রিয়াদ। সেই রিয়াদকে দিয়েই ‘মা’ গানটি গাওয়ান প্রিন্স মাহমুদ। এরপর ‘জংলি’ সিনেমার সব গানের সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।

শেষকথা

বর্তমান সময়টা সিনেমার গানের সঙ্গে কাটছে প্রিন্স মাহমুদের। তাড়াহুড়া করে কখনোই কাজ করেন না তিনি। সময় নিয়ে ভালো কিছু উপহার দেন। আরও অনেক গানের অপেক্ষায় আমরা। অনেক ভালো থাকুক আমাদের সুরের রাজা প্রিন্স মাহমুদ।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: শুভেচ্ছা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − thirteen =