দেশে দেশে কারফিউ

শিশির রহমান

কারফিউ এমন এক ধরনের আইন যেখানে সাধারণ জনগণদের নিরাপদে রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সকল ধরনের সাধারণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। কারফিউ বা ‘সান্ধ্য আইন’ যার আক্ষরিক অর্থ সন্ধ্যার সময় বা সন্ধ্যার পরে চলাচলের নিয়ম-কানুন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা ম্যারিয়াম ওয়েবস্টার বলছে, কারফিউ বলতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জনসাধারণের গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করা বোঝায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের ঘর থেকে বের হবার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার তথ্যমতে, কারফিউ শব্দের উৎপত্তি চর্তুদশ শতকে, পুরানো ফ্রেঞ্চ শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুন ঢাকা। ফ্রান্সে সে সময়কার বেশিরভাগ বাড়িই তৈরি করা হতো কাঠ দিয়ে আর ঘর গরম রাখতে মেঝের মাঝখানে আগুনের ব্যবস্থা করা হতো। কিন্তু এর ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কাও থাকতো। তাই সন্ধ্যার দিকে জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য একটি ঘণ্টা বাজানো হতো যাতে করে তারা রাতের বেলা আগুন নিভিয়ে রাখে। সেই ঘণ্টাকে ডাকা হতো কারফিউ। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। থমসন রয়টার্সের একটি প্রতিষ্ঠান ফাইন্ড ল বলছে, তিন ধরনের কারফিউ আইন আছে। প্রথমটা জরুরি কারফিউ, দ্বিতীয়টা বিজনেস কারফিউ এবং তৃতীয়টা হচ্ছে কিশোর কারফিউ আইন। গভীর রাতে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণত ব্যবসায়িক কারফিউ ফার্মেসিতে প্রযোজ্য হয় না। তবে তারা রেস্তোরাঁ, মদের দোকান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারে যেখানে লোকেরা জড়ো হয়। এটা খুবই কম ব্যবহার করা হয়। কিশোর কারফিউ আইন সাধারণত রাজ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রণীত হয়। এই কারফিউগুলি একটি নির্দিষ্ট বয়সের (সাধারণত ১৮ বছরের কম) নির্দিষ্ট সময়ে জনসাধারণের বা ব্যবসায়িক স্থানে থাকা বন্ধ করে দেয়। এই আইনগুলির মূল লক্ষ্য হল সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ করা। ‘জরুরি কারফিউ আইন’ বেশি ব্যবহার করে থাকে প্রতিটি দেশের সরকার। সাধারণত নির্দিষ্ট সংকট মোকাবেলায় স্থানীয়, রাজ্য বা ফেডারেল সরকারের অস্থায়ী আদেশে জরুরি কারফিউ আইন জারি করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ (হারিকেন, দাবানল, বিস্ফোরণ ইত্যাদি), জনস্বাস্থ্য সংকট (রোগ, মহামারি ইত্যাদি) এবং নাগরিক সংকট (বিক্ষোভ, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী হুমকি ইত্যাদি)।

বাংলাদেশ

সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে সরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে নামানো হয় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য। ১৯ জুলাই সকাল থেকেই ঢাকা শহরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে ওইদিন দিবাগত রাত ১২টা থেকেই জারি করা হয় কারফিউ। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে কারফিউ ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। যা ওয়ান ইলেভেন নামে পরিচিত। ২০০৬ সালের শেষ ভাগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা-হানাহানি ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কারফিউ জারি করেন এবং ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় নিবার্চন বাতিল করা হয়। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ঢাকাসহ সব মহানগরী ও জেলা শহরে ঘোষণা করা হয় কারফিউ, যা বহাল ছিল পরবর্তী দুই বছর।

ভারত

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হালদওয়ানিতে সরকারি জমিতে থাকা একটি মসজিদ ও সংলগ্ন মাদ্রাসা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় চারজন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছিল। এ ঘটনার পর শহরজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছিল, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সৌদি আরব

করোনা চলাকালীন সময়ে ইসলাম ধর্মের দুই পবিত্র শহর মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কারফিউ জারি করেছিল সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। শুরুতে শহরগুলোতে ১৫ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছিল এবং মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সারাদিনের জন্য কারফিউ কার্যকর করা হয়। সেই সময়ে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সৌদি কর্তৃপক্ষ মানুষজনকে মক্কা ও মদিনা এবং সেইসঙ্গে রাজধানী রিয়াদেও ঢুকতে দেয়নি।

পাকিস্তান

২০২০ সালে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিন্ধু প্রদেশে শুক্রবারের জুমার নামাজ ঠেকাতে তিন ঘণ্টা কারফিউ জারি করেছিল। জুমার নামাজ ঠেকানোর জন্য দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মানুষের চলাচল বন্ধ রাখতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। এ সময়ে সব বাজারহাট বন্ধ রাখার মতো কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল সেখানে।

যুক্তরাষ্ট্র

পুলিশ হেফাজেতে কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জেরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। গ্রেপ্তারের সময় ৪৮ বছর বয়সী ফ্লয়েডের গলার ওপর হাঁটু গেড়ে বসে থাকার কারণে তার মৃত্যু হয়। তার এই হত্যাকাণ্ডের ফলে সারা বিশ্বে বর্ণবাদ এবং পুলিশি নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছিল দাঙ্গা পুলিশ। কয়েকটি শহরে পুলিশের যানে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নেপাল

নেপালের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নেপালগঞ্জ। সেখানে এক হিন্দু বালক মুসলিমদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে একটি পোস্ট দেয়। সেই হিন্দু বালকের পোস্ট নিয়ে নেপালের নেপালগঞ্জ শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মুসলিমদের প্রতিবাদের জবাবে বিশাল র‌্যালি করে হিন্দু সম্প্রদায়। এ সময় মুসলিমদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল। ইটপাথর ও বোতল নিক্ষেপ করা হয়। এতে আহত হয় অনেকে। তারপর রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালগঞ্জ শহরে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ দেওয়া হয় নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে।

চীন

২০১৯ সালে চীন সরকার অপ্রাপ্তবয়স্কদের অনলাইন গেম খেলার ওপর কারফিউ জারি করেছিল। এর ফলে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তারা রাত দশটা থেকে সকাল আটটার মধ্যে কোনো অনলাইন গেম খেলতে পারবে না। সাপ্তাহিক কর্মদিবসে দেড় ঘণ্টার বেশি আর সাপ্তাহিক ছুটি বা অন্য ছুটির দিনে তিন ঘণ্টার বেশি গেম খেলা যাবে না। ৮ হতে ১৬ বছর বয়সীরা প্রতি মাসে ২০০ ইউয়ান (২৯ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত খরচ করতে পারবে, আর যাদের বয়স ১৬ হতে ১৮, তারা পারবে এর দ্বিগুণ। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যে দৃষ্টিক্ষীণতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার পর সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। অতিরিক্ত গেম খেলার কারণে এরূপ সমস্যা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল।

দক্ষিণ কোরিয়া

করোনা মহামারীর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সিউলের বাইরে পাঁচ লাখের বেশি রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর কারফিউ করা হয়েছিল। রাজধানীর বাইরে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিউলের ভেতরে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রাত ৯টার মধ্যেই বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। জরুরি প্রয়োজন ব্যাতিত সকলকে বাহিরে না বের হওয়ার আহ্বান করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়। যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলবে না তাদের কার্যক্রম দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

শ্রীলঙ্কা

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল। কোভিড মহামারির কারণে পর্যটনে ধ্বস এবং বৈদেশিক মুদ্রার অভাবের কারণে, সকল জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হলে সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি ভয়ংকর রুপ ধারণ করলে, সরকার সারা দেশজুড়ে ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করে। দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সেনা মোতায়েন করা হয়। পরোয়ানা ছাড়াই লোকজনকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয় সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে।

স্পেন

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা প্রতিরোধে স্পেনে কারফিউ ঘোষণা করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী রাত্রিকালীন কারফিউ ঘোষণা করেন। রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকে। এসময় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। কারফিউ চলাকালীন অবস্থায় ভ্রমণ ভিসায় আগত ব্যক্তিদের থাকার মেয়াদ ১৫ দিন থেকে ছয় মাস বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য পার্লামেন্টে প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

ইউক্রেন

সম্প্রতি রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কারফিউ জারি করেছিলেন সেখানকার মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম ঘণ্টাতেই ৪০ ইউক্রেনীয় সেনা ও  ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর। রাত ১০টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি ছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান কারফিউ চলাকালে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য চলবে মেট্রোরেল চলবে।

রাশিয়া

বর্তমান যুদ্ধের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সৈন্যদের হাতে পরাজিত হয়ে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খারসানের দখল হারায় ইউক্রেন। মধ্যরাতে ব্যাপক হামলার পর রাশিয়ার সামরিক বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় এ শহরটির দখল নিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন খারসানের মেয়র। দখলে নেওয়ার পর রাশিয়ান সেনারা সিটি কাউন্সিল ভবনে প্রবেশ করে এবং শহরে কারফিউ জারি করেছিল।

ফ্রান্স

গত ১৫ মে ২০২৪ স্থানীয় নির্বাচনে অভিবাসীদের ভোটাধিকার দিতে আনা নির্বাচনী সংস্কার পরিকল্পনার প্রতিবাদে ফ্রান্স নিয়ন্ত্রিত ফরাসি অঞ্চল নিউ কালেডোনিয়ার নোমিয়ায় দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। ২০০ তরুণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছিলো এই দাঙ্গায়। যার ফলে পুরো শহরজুড়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নামানো হয়েছিল এবং ১২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছিল। নোমিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং সব ধরনের বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। নিউ কালেডোনিয়া হাইকমিশন জনসমাগম এবং অ্যালকোহল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

তুরস্ক

২০২০ সালে তুরস্কে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘স্বৈরশাসন সংহত হতে থাকায়’ এবং ‘সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ায়’ দেশে সামরিক আইন জারি করেছে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশটিতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনী একটি ‘পিস কাউন্সিল’ গঠন করেছিল। ঘোষণায় বলা হয়েছিল এখন থেকে এই কাউন্সিলের অধীনে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ায় পর ইস্তাম্বুলে সব ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আঙ্কারার আকাশে নিচু দিয়ে বিমান উড়ছিলো। সকল বিমানবন্দরগুলোতে সেনাবাহিনীর ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছিল।

মিয়ানমার

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সামরিক শাসন চলে আসছে, তবে গত বছরের অক্টোবর থেকে সামরিক জান্তার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করেছিল স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এরপর রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র লড়াই শুরু হয় দুই পক্ষের মাঝে। যা এখনো চলমান রয়েছে। এতদিন রাজধানী সিত্তের আশপাশে লড়াই চলছিল। তবে এখন এটি সিত্তেতে পৌঁছে যাওয়ার ফলে রাখাইনের রাজধানীতে জান্তা সরকার কারফিউ জারি করে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ চলেছিল। সিত্তের পৌরসভাগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছিল।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে হবে ক্লিক করুন: জানা অজানা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × 5 =