অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হতে ওয়ার্নারের আর বাধা নেই

২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কেপ টাউন টেস্টে বল-বিকৃতির ঘটনায়  জড়িত থাকার দায়ে  ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছর নিষিদ্ধ করেছিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে নেতৃত্বে দেওয়ার ক্ষেত্রে আজীবন নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছিলেন তিনি। কারন ঐ সময় অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। অবশেষে সাড়ে ছয় বছর পর অধিনায়কত্ব থেকে ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সিএ। খবর বাসস/এএফপি

চলতি মাসের শুরুর দিকে তিন সদস্যের একটি প্যানেলের সামনে মূল রায়ের শর্তাবলি সংশোধন করার জন্য আবেদন করেন ওয়ার্নার। শাস্তি পাবার পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ওয়ার্নার সব শর্ত পূরণ করেছেন বলে জানিয়েছে ঐ প্যানেল। তারা জানায়, ‘সম্মানজনক ও অনুশোচনাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন ওয়ার্নার।

ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ওয়ার্নার। তাই জাতীয় দলকে আবারও নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই তার। তবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে যে কোন দলকে নেতৃত্ব দিতে আর কোন বাঁধা নেই ওয়ার্নারের। ফলে আগামী বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লিগে সিডনি থান্ডারকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে ওয়ার্নারের সামনে।

সিএ’র প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট যে ডেভিড তার উপর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অধিনায়কের পদে ফেরার জন্য বিবেচিত হবে।’

২০১৮ সালে কেপটাউনে ‘স্যান্ডপেপার-গেট’ কেলেঙ্কারির মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ওয়ার্নার। তার সাথে বল-বিকৃতির কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ওয়ার্নারের সাথে স্মিথও এক বছর এবং ব্যানক্রফট ৯ মাস নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আবেদনে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের নাম রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেছেন ওয়ার্নার।

ওয়ার্নারের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 − nineteen =