সালেক সুফী
বিশ্ব ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু আলোড়ন সৃষ্টি করি ঘটনা ক্রিকেটের মহিমা সমুন্নত রেখেছে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ ধবল ধোলাই হওয়া পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে শক্তিশালী ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে। কাল দাপুটে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে এডিলেড ওভালে। সর্বজয়ী ভারত দলকে ভারতে টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই করে ইতিহাস গড়েছে নিউজিলণ্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলছে। প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হেরে ০-১ পিছিয়ে আছে| আজ এবং সোমবার বাকি দুটি খেলা। দুটি প্রায় সমান শক্তির দল। বাংলাদেশ কেন ক্রিকেট বিশ্বে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আপন শক্তিতে জ্বলে উঠতে পারবে না? কেন পর পর দুটি ম্যাচ জিতে জয়ের ধারায় ফিরতে পারবে না?
পিছু ফিরে তাকালে দেখবো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বেশ কিছু দিন থেকে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে পারছে না। টপ, মিডল, লেট অর্ডার কোথাও ব্যাটসম্যানরা নিজেদের সুনামের প্রতি সুবিচার করছে না। প্রথম ম্যাচটিতে শুরুতে বাংলাদেশ বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করে আফগান দলকে কোনঠাসা করার পরেও কৌশলের ভুলে চাপ ধরে রাখতে পারে ন। তবুও ২৩৫ রানের সীমানা পেরিয়ে জয় অর্জন আয়ত্তের বাইরে ছিল না। ১২০/২ অবস্থায় বাংলাদেশ জয়ের পথে ছিল। কিন্তু অভিষিক্ত এক আফগান তরুণ গাজানফারের মরু ঝরে বিপর্যস্ত হয়ে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে বাংলাদেশ। ২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানের বিশাল ব্যাবধানে হেরে গাছে।
জানি এই ধরণের বিপর্যস্ত অবস্থান থেকে ফিরে আসা সহজ না। তবুও আজ বাঁচা মরার লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। সিরিজ পর্যায় এড়াতে হলে আজ জিততেই হবে। আজ হেরে গেলে আরো একটি ধবল ধোলাইয়ের কালিমা লিপ্ত হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। আহত হয়ে দলের বাইরে মুশফিক। হয়ত খেলবে জাকের অনিক। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় রিয়াদ, শান্ত, মিরাজ, জাকের হাসান, জাকের অনিক ভালো ব্যাটিং করতে হবে। দলে শেষ মুহূর্তে যোগ হয় নাহিদ রানা এবং নাসুমের একজন অথবা দুইজন আজ খেলবে। আফগানিস্তানের বোলিং বিশ্বমানের। কোনো বিশেষ বলার নিয়ে ট্রমাটাইজড হওয়ার কারণ নেই। ব্যাটিং করে ২৫০ অথবা ২৫০ তাড়া করে ম্যাচ জয় করার সামর্থ বাংলাদেশের অবশ্যই আছে। শুধু প্রয়োজন নিজেদের খেলা ঠিক থাক খেলা। একটি জয় বাংলাদেশ দলকে পাল্টে দিবে।