বিজ্ঞানীরা টেকসই কৃষিকাজ এবং বন উজাড়ের বিষয়ে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়ার পর সোমবার সৌদি আরবে বিস্তীর্ণ ভূমির অবক্ষয় এবং মরুকরণ রোধ করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের আলোচনা শুরু হয়েছে। রিয়াদ থেকে এএফপি এখবর জানায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি রক্ষা, পুনরুদ্ধার এবং খরার প্রতিক্রিয়া জানাতে জাতিসংঘ মরুকরণ প্রতিরোধ সম্মেলন (ইউএনসিসিডি)-এর জন্য ১২ দিনের বৈঠককে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একটি ‘বড় উল্ফন মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০২২ সালে আইভরি কোস্টে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের এই ধরনের ‘পক্ষগুলোর সম্মেলন’ (সিওপি) বা শেষ বৈঠকে ‘২০৩০ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন হেক্টর অবক্ষয়কৃত ভূমি পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করার’ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৬টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একত্রিত করে গঠিত ইউএনসিসিডি এখন বলেছে, ক্রমবর্ধমান খরাসহ সংকট মোকাবেলায় দশকের শেষ নাগাদ ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর (৩.৭ বিলিয়ন একর) ভূমি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম মরুভূমিগুলোর মধ্যে একটি সৌদি আরবে এই আলোচনার একদিন আগে জাতিসংঘের একটি নতুন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে বনের ক্ষতি এবং ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমি জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্রের ক্ষতির স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করছে।
ইউএনসিসিডির নির্বাহী সচিব ইব্রাহিম থিয়াও এই প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘যদি আমরা ভূমির প্রধান ভূমিকা স্বীকার করতে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হই, তাহলে এর পরিণতি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রসারিত হবে এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য জটিলতাকে তীব্রতর করে ভবিষ্যতে প্রসারিত হবে।’
জমির অবক্ষয় বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করে এবং জমিকে কৃষির জন্য কম উৎপাদনশীল করে তোলে, যার ফলে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করে।
বাসস