‘আজব কারখানা’র প্রদর্শন আগামীকাল

শবনম ফেরদৌসী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা, অর্জন করেছেন সম্মান ও ভালোবাসা। তার পরিচালনায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আজব কারখানা’ প্রথম বারের মতো বড়পর্দায় উঠতে যাচ্ছে আগামীকাল (১৯ জানুয়ারি)।  ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভ্যানু জাতীয় গণগ্রন্থাগারের মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাতটায় প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রটি।

নির্মাতা। বললেন, “অবশেষে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্রটি পর্দায় উঠছে এতে আমরা আনন্দিত। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বড়পর্দায় চলচ্চিত্রটি দেশের উৎসবেই প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে এটা বেশ ভালো লাগার। অনেক সাড়া পাচ্ছি-সকলেই দেখতে আসতে আগ্রহী। আমরাও আমন্ত্রণ জানাই। করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও এটির প্রদর্শনী তাই থেমে গেছে। পরিস্থিতি আবারও একটু স্বাভাবিক হলে বড়পর্দায় আসবে ‘আজব কারখানা’।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সামিয়া জামান।

আজব কারখানা চলচ্চিত্রের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে একজন রকস্টারের জীবনকে ঘিরে। রকস্টার রাজীব গ্রাম বাংলার বাউল শিল্পীদের সংস্পর্শে এসে নিজের জীবনের নতুন অর্থ খুঁজতে শুরু করে। চলচ্চিত্রটিতে আবহমান বাংলার বিভিন্ন গানের ধারা, ঘরানা ও মর্মবানী তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে রক ও ফিউশনের আয়োজন।

চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী বলেন, “এটা একদম এই সময়ের গল্প। আমাদের দেখা চারপাশের বাংলাদেশের গল্প। এটা একজন রকস্টারের কাহিনি। একজন শিল্পী, ডায়নামিক চরিত্রের একজন। জনপ্রিয়তা যার একদম তুঙ্গে। তাকে ঘিরেই গল্পটা। সে নানা জায়গায় শো করতে যাওয়ার সুবাদে তার মধ্যে যে পরিবর্তনগুলো হতে থাকে, এবং সে যে আজব সুন্দরের দেখা পায়, সেটাই জানাবার চেষ্টা।”

চলচ্চিত্রটির রক স্টার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন সাদিয়া শাবনাজ ইমি ও দিলরুবা দোয়েল। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ থেকে ময়মনসিংহ, কেন্দুয়া, সিলেট ও রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে চিত্রায়িত হয় চলচ্চিত্রটি।

শবনম ফেরদৌসীর মতে, “এটা একটা মিডল সিনেমা। যেখানে সব মানুষই কমুনিকেট করতে পারবে। যে গল্পটা বলা হচ্ছে তাতে দর্শক এন্টারটেইনডও হতে পারে, একটা বোধও নিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ যার যেটা বুঝবার, যার আনন্দ নেবার সে আনন্দ নেবে, যার মেসেজ নেয়া দরকার সে মেসেজটা নেবে।”-যোগ করেন শবনম।

চলচ্চিত্রটিতে ৫টি মৌলিক গান রয়েছে এবং প্রথমবারের মতো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজের ৪টি কবিতাকে গানে রূপায়ন করা হয়েছে। গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছে ভাইকিং এবং গৌরব। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন লাবিক কামাল গৌরব।

প্রায় ৪০টিরও অধিক প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা শবনম ফেরদৌসীর ‘জন্মসাথী’ ২০১৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জণ ছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এবং একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছে।

বার্তা২৪

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

five × 5 =