বাংলাদেশ-ইউএই সিরিজ: আমার কিছু বলার আছে

অবশেষে আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব এমিরেটসের সঙ্গে ২-১ টি ২০ সিরিজ হেরে গেলো বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফর সামনে রেখে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার জন্য দুই ম্যাচের টি ২০ সিরিজ খেলতে চেয়েছিলো বাংলাদেশ। অনুরোধ করে একটি ম্যাচ বাড়িয়ে তিনটি করা হলো।  প্রথম দুই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফলাফল ছিল ১-১।  তৃতীয় ম্যাচটিতে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাটসম্যানদের ব্যার্থতায় একপর্যায়ে ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ জাকের আলী ( ৪১) ,হাসান মাহমুদ (২৬*) আর শরিফুল (১৬*) প্রতিরোধে ১৬২/৯ করেছিল। কিন্তু এমিরেটস ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করে ৫ বল আর সাত উইকেট হাতে রেখে ১৬৬/৩ করে সাত উইকেটে জিতে বাংলাদেশকে সিরিজ পরাজয়ের লজ্জা দিলো। আয়ারল্যান্ডের পর দ্বিতীয় আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় করলো এমিরেটস।

যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় আইসিসি সদস্য দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ পরাজয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বিশেষজ্ঞরা নানাভাবে সিরিজ নিয়ে কথা বলবেন। আমার বিশেষ কিছুই বলার নেই। দেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাস্ত থাকা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কেন সিরিজ জুড়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছুতেই বিবর্ণ ছিল সেটির ব্যাখ্যা হয়তো অজানা নেই ক্রিকেট অপারেশন পরিচালক দলের সাথে থাকা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের।

বাংলাদেশ কেন ক্রিকেটের সকল ফরম্যাটে ক্রমাগত অধঃপাতে ধাবমান সেটি অনুসন্ধান করতে আলবার্ট আইনস্টাইন হতে হয় না. অন্যান্য দেশগুলোর অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগুতে পারছে না এই সহজ সরল সমীকরণ মিলানো সবার জন্য সহজ. প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট পরিকল্পিত পথে এগুচ্ছে। বিশেষ করে আইসিসি সহযোগী দেশগুলো সুন্দর পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সবজান্তা বিসিবি কর্মকর্তাদের ব্যার্থতায় ক্রিকেট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাবি খাচ্ছে।

ফিরে তাকালে দেখবেন বাংলাদেশ সিরিজ জুড়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোথাও ধারাবাহিক ভালো করে নি. প্রথম ম্যাচে  পারভেজ ইমন মারকুটে শতরান করে মুখরক্ষা করলেও বাকি সবাই ধারাবাহিক ভাবে বার্থ হয়েছে। দ্বিতীয় তৃতীয় ম্যাচে টপ অর্ডার মিডল অর্ডার ক্রমাগত বার্থ হয়েছে। এমিরেটস অপর দিকে পরিকল্পনা করে নিজেদের সাদ্ধ সামর্থের সব কিছু উজাড় করে যোগ্য দল হিসাবে সিরিজ জিতেছে। জানিনা সিরিজটি হালকা ভাবে নিয়েছিল কিনা।

মোহাম্মদ ওয়াসিম, আলিশান শরাফু যেভাবে ব্যাটিং করেছে ভয় হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাশার দান উল্টে যাবে কিনা। এমিরেটসের সঙ্গে সিরিজ পরাজয়ের ক্ষত বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান সিরিজেও তাড়িয়ে বেড়াবে।

আমি বহুবার বলেছি লিখেছি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিটি সিরিজ নিয়ে প্রতিপক্ষ, খেলার মাঠ, পরিবেশ নিয়ে পরিকল্পনা করে বলে মনে হয় না। কেন বাংলাদেশকে একটি সহযোগী দেশের সঙ্গে সিরিজ হারের বিড়ম্বনা অপহাতে হবে? কি ব্যাখ্যা দেয়ার আছে টিম ব্যাবস্থাপনার?

এভাবে হারতে থাকলে একসময় দেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা খেলাটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে অবাক হবো না। আমি সিরিজ পর্যায়ের ব্যাবচ্ছেদ করার জন্য নট আউট নোমানকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। টিম ব্যাবস্থাপনার কাছে ব্যাখ্যা দাবি করছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seventeen + eleven =