বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭ পর্বের সূচনা ম্যাচে শ্রীলংকার গলে প্রথম দিন শেষে নাজমুল শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের মাইলফলক অপরাজিত জুটিতে স্বাগতিক দলের বিরুদ্ধে সন্তোষজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। দিনশেষে শান্ত -মুশফিক জুটির অপরাজিত ২৪৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির কল্যাণে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রানে পৌঁছেছে।
অথচ দিনের শুরুতে ১৭ ওভারে ৪৫ রানে দুই ওপেনার এবং মমিনুলকে হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল। শ্রীলংকান পেস এবং স্পিন বোলাররা নতুন বলের ফায়েদা নিয়ে চেপে ধরেছিল। নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে উইকেটে স্থিতু হয় শান্ত মুশফিক জুটি।
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেশনে উঁচু মানের ব্যাটিং করে উভয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (১৩৬) এবং মুশফিক (১০৯) রানে অপরাজিত আছে। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং করলে ৪০০-৪৫০ রান করা সম্ভব হতে পারে। আর সেটি হলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বাংলাদেশ
সাম্প্রতিক সময়ে সকল ফরম্যাটে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের জন্য এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়ান বিশেষভাবে জরুরি। কাল ২০২৫-২৭ পর্বের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচনা ম্যাচে প্রথম দিনে বাংলাদেশের শুভ সূচনা হলো।
টস জয় করে প্রথমে ব্যাটিং সূচনা করে কিন্তু বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। আনামুল বিজয় আর সাদমান ইসলাম লংকান পেস বোলিং মোকাবিলায় খেই হারিয়ে ফেলে। ১৫ম ওভারে দুই ওপেনার বিদায় নিলে রান দাঁড়ায় ৩৯।
ভালো খেলতে থাকা মমিনুলকে এই ম্যাচে অভিষিক্ত থারিন্ডু রত্নায়েকের বলে দুর্দান্ত ক্যাচে ডি সিলভা ফিরিয়ে দিলে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের পিঠ দেয়ালে থেকে যায়। জুটি বাঁধে অধিনায়ক নাজমুল আর মুশফিক।
প্রথম দিকে শ্রীলংকার আগ্রাসি বোলিং মোকাবিলায় সংগ্রাম করতে হয়েছে জুটিকে। এমনিতেই শ্রীলংকা মুশফিকের প্রিয় প্রতিপক্ষ আর গলে মুশফিকের অনেক মধুর স্মৃতি আছে। শান্তর জন্য কাল ছিল নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে ফর্মে ফেরার লড়াই।
বলা বাহুল্য অনেক উঁচু মানের ব্যাটিং উপহার দিয়ে শান্ত-মুশফিক জুটি শুধু দলকে বিপদমুক্তই করেনি, অপরাজিত ২৪৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছে শক্তিশালী অবস্থানে। দিনশেষে শান্ত ১৪ চার আর ১ ছয়ে ১৩৬ রানে অপরাজিত আছে। মুশফিক ৫ চারে ১০৫ রানের পরিশীলিত ইনিংস খেলেছে।
শ্রীলংকায় হয়তো এটি মুশফিকের শেষ সফর। ইনিংসটা আরো বড় করে স্মরণীয় করে রাখলে অবাক হবো না। ২৯২ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪০০-৪৫০ রান করলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গল উইকেটের শেষ ইনিংসে স্পিন সহায়ক হয়ে উঠলে তাইজুল আর নাঈমকে খেলা সহজ হবে না। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন রয়ে শোয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
ক্রিকেটে আরো একটি দিন গেল যেদিন সকালের সূর্য দেখে দিন চেনা যায়নি।