পাকিস্তান বাংলাদেশ টি ২০: সিরিজ জয়ের লড়াইয়ে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে দাপুটে ৭ উইকেটের জয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ। ঢাকার মীরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের দুর্গম দুর্গে বাংলাদেশকে আজ জয়ী হতে স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রথম ম্যাচে শোচনীয় পরাজয়ের পর পাকিস্তান দলের কোচ উইকেটের মান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। একই উইকেটে সাচ্ছন্দে খেলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের ১১০ রান তাড়া করে হেসে খেলে ম্যাচ জয় করেছে, ওপেনার পারভেজ ইমন ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করার পথে সহজে ছক্কা হাকিয়েছে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই উইকেট টি ২০ম্যাচের জন্য আদৰ্শ ব্যাটসম্যান সহায়ক ছিল না। প্রথমে ব্যাটিং করা পাকিস্তানের ব্যাটিং পরিকল্পনা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের ধীর, কিছুটা গ্রিপিং উইকেটে পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নেয়া উচিত ছিল। ১৫০ রান করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং করলে অর্জন কঠিন ছিলনা। অধিকাংশ পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান উইকেটের মেজাজ না বুঝেই বাজবল ইনিংস খেলতে চেষ্টা করেছে। এই ধরণের গ্রিপিং উইকেটে মুস্তাফিজ তাসকিন ধস নামানো সাভাবিক ছিল। পাকিস্তানের তিনজন রান আউট হয়েছে তাড়া হুড়ো করে। অনেকেই উইকেট ছুড়ে দিয়ে আনাড়ির মত আউট হয়েছে। ফুটেজ দেখে লজ্জা পাবার কথা। বাংলাদেশের কৌশলের কাছে ধরা পড়েছে পাকিস্তান। তাই উইকেট নিয়ে পাকিস্তান কোচের কথা অজুহাত বৈ কিছুনা।

আজ হয়ত বাংলাদেশ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙবে না। তবু আমার মনে হয় এই উইকেটে নাসুম আহমেদকে সুযোগ দেয়া হলে মন্দ হত না। সেই ক্ষেত্রে হয়ত একজন পেসার কম খেলাতে হবে। আমি মনে করি আজকের ম্যাচেও টস গুরুত্বপূর্ণ হবে। বৃষ্টি বিঘ্নিত হবার সম্ভাবনা থাকায় পরে ব্যাট করা দল বাড়তি সুবিধা পাবে। ওপেনার হিসাবে যেদিন তানজিদ তামিম আর পারভেজ ইমন এক সঙ্গে জ্বলে উঠবে সেদিন বাংলাদেশের ইনিংস ১৭০-১৮০ হয়ে যেতে পারে। অধিনায়ক লিটন প্রতি ম্যাচে বার্থ হবে না। তাওহীদ হৃদয় এখন কিছুটা সংযত। জাকের অনিক, শামীম পাটোয়ারী মিডল অর্ডার লেট্ মিডল অর্ডারে  বিকশিত হচ্ছে। রিশাদ, তানজিম প্রয়োজন মেটাতে পারছে। বাংলাদেশ যদি ১৫০-১৬০ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের  ভালো বোলিং পাকিস্তানের নড়বড়ে আস্থাহীন ব্যাটিং চূর্ণ করে দিতে সক্ষম। তবে ক্রিকেটের মত এই রোদ এই বৃষ্টি পাকিস্তানকে নিয়ে সতর্ক থাকার দরকার আছে।

পাকিস্তান হয়ত অধিকাংশ প্রথম চয়েস খেলোয়াড়দের দেশে রেখে খর্ব শক্তির দল নিয়ে এসে একটু বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছে। ফকর জামান, সাঁইযুম আয়ুব, সালমান আগা ছাড়া দলের ব্যাটিং প্রমাণিত সফল নয়। বোলিং আন্তর্জাতিক মানের বলবো না। এমতাবস্থায় নিজেদের ফিরে পাওয়া পরিবর্তিত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ জয় সহজ হবে না।

কাল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় একটি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ায় কোমলমতি শিশু কিশোরদের প্রাণ হানি ঘটেছে। অনেকেই আহত। জাতি শোকে কাতর। আজ শোকের দিন। ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ শোককে শক্তিতে পরিণত করে সিরিজ জয় করার বাড়তি তাগিত থাকবে। কাল বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ অনুর্ধ ২০ ফুটবল শিরোপা জিতে জয় নিহত আহত শিশু কিশোদের উৎসর্গ করেছে। আজ লিটন বাহিনীর পালা। নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিলে আজ সাফল্য ধরা দিবে বলা যেতেই পারে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

seven + sixteen =