টি২০ সিরিজটি টিম কম্বিনেশন যাচাই করার শেষ সুযোগ

সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ চট্টগ্রামের সাগরিকায় বীরশ্রেষ্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া  তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের যাচাই করার শেষ সুযোগ। প্রতিপক্ষ হিসাবে আয়ারল্যান্ড যথেষ্ট শক্তিশালী না হলেও একেবারে হেলাফেলার মতো নয়। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে সাফল্য পেলেও ধারাবাহিক হতে পেরেছে বলা যাবে না। বাটিংয়ে টপ, মিডল এবং স্লগ ওভারে উন্নতির সুযোগ আছে। ফিল্ডিংয়ে যথেষ্ট ঘাটতি, পাঁচ+এক কুশলী বোলার  নেই। টি২০ বিশ্বকাপে তুখোড় দলগুলোর বিরুদ্ধে  সাফল্য পেতে এগুলো অপরিহার্য।

বিসিবির নির্বাচক কমিটি ঘোষিত টি২০ স্কোয়াড নিয়ে নির্বাচকমন্ডলী এবং অধিনায়কের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দলের রসায়নে প্রভাব ফেলবে কিনা দেখতে হবে। পূর্ববর্তী সিরিজ খেলা দল থেকে তাসকিন আহমেদ এবং শামীম পাটোয়ারীকে বাদ দিয়ে ওদের স্থানে পেস বোলিং অল রাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে দলে নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াড নির্বাচনের মূল দায়িত্ব নির্বাচক কমিটির। প্রথাগত ভাবে ক্যাপ্টেন এবং হেড কোচের সঙ্গে পরামর্শ করে স্কোয়াড নির্বাচন হয়ে থাকে।

এবারে স্কোয়াড নির্বাচন নিয়ে মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সূত্রে। বলা হয়েছে স্কোয়াড  ঘোষণার প্রাক্কালে অধিনায়ককে আড়ালে রাখার। প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। মতের মিল হয়নি ধারাবাহিকভাবে ফর্মহীন থাকা শামীম পাটোয়ারীকে বাদ দেওয়া নিয়ে। আগেই বলেছি টি২০বিশ্বকাপের আগে শেষ সুযোগ কম্বিনেশন স্থির করার।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে দলে নেওয়া সঠিক হয়েছে বলে  করি। এমনকি একইভাবে  বার্থ জাকের আলী অনিককে বিশ্রাম দিয়ে বাংলাদেশ এ অথবা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে থাকা কাউকে যাচাই করা যেতো।  আর স্কোয়াড নির্বাচন করার মূল দায়িত্ব নির্বাচকমন্ডলীর।  নির্বাচিত স্কোয়াড নিয়েই একাদশ সাজাতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসাইন ইমন, লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক) , সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসাইন, নুরুল হাসান, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম,  মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান সাকিব এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

আমি ঘোষিত দলে খুব একটা চমক দেখি না। দলের ওপেনার্স তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন নিজেদের বিকশিত করছে। সাইফ হাসান নিজেকে প্রমাণ করেছে। প্রথম দুটি ম্যাচ জয়ী হলে তরুণ হাবিবুর রহমান সোহানকেও একটি ম্যাচে পরখ করা যেতে  পারে। লিটন, হৃদয় মোটামুটি ধারাবাহিক। জাকের আলী এবং নুরুল সোহানের সুযোগ নিজেদের দলে প্রতিষ্ঠিত করার। জানিনা তাসকিন ম্যাচ ফিট কি না। পেস এবং স্পিন আক্রমণ নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে রিপন মণ্ডলকেও শেষ টি২০ তে সুযোগ দিয়ে যাচাই করা যেতে পারে।

আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লড়কান টাকার, কার্টিস কাম্ফার, জর্জ ডকরেল, বেঞ্জামিন ক্যালিজ, গ্যারেথ ডিলানি, বারি ম্যাকার্থি, ম্যাথিউ হামফ্রেস, ক্রেগ ইয়ং, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জশুয়া লিটল, টিম টেক্টর, জর্ডান নেইল এবং মার্ক আদায়ার।

সফরকারী আয়ারল্যান্ড কিন্তু সীমিত ওভার তথা সংক্ষিপ্ততম ওভারে ফেলনা দল না। বাংলাদেশ ঘরের মাঠে অবশ্যই ফেভারিট। কিন্তু সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে। হালকা ভাবে নেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া সঙ্গত হবে না। আশা করি মাঠের বাইরের ঘটনা দলের রসায়ন প্রভাবিত করবে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 + one =