ব্যাটিং ব্যর্থতায় আয়ারল্যান্ডের কাছে হারলো বাংলাদেশ

১৮ রানে ৪টি আর ৭৪ রানে নেই ৮ উইকেট। ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে গেছে তখনই। সেখানে দাঁড়িয়ে একাই লড়লেন তাওহিদ হৃদয়। এই লড়াইয়ে অবশ্য দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমা ছাড়া তেমন কোনো উপকার হলো না।

টেস্ট সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টিতে দুঃস্বপ্নের শুরু হলো বাংলাদেশের। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের কাছে ৩৯ রানে হেরেছে টাইগাররা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেলো সফরকারী দল।

টসে হেরে ব্যাটিং করে আইরিশরা ২০ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ১৮১ রান। জবাবে বাংলাদেশ করে ৯ উইকেটে ১৪২ রান। মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক আসর, টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ কেমন সেখানে স্পষ্টই প্রমাণ হয়ে যায়। কন্ডিশনের ফায়দা নিয়ে বা দুর্বল দলের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতলেও বড় আসরে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বরাবরই খাবি খেয়েছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে ১৮২’র চেয়ে বেশি রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি জয়ের উদাহরণ মাত্র একটি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ রান তাড়ায় শুরু থেকেই ভুগতে থাকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৪ উইকেট হারায় তারা। তানজিদ ২, ইমন ১, লিটন ১, সাইফ ৬ এক অঙ্কের ঘরে রান করে ফেরেন।

পঞ্চম উইকেটে জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয় ৪৮ রানের জুটি গড়েন। জাকের ২০ রান করে ফেরেন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে হামফ্রিস তুলে নেন আরও ৩ উইকেট। তাতে জয়ের আশা শেষ হয় বাংলাদেশের। হৃদয়ের ৫০ বলে অপরাজিত ৮৩ শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ম্যাথু হামফ্রেস ১৩ রানে নেন ৪ উইকেট।

তার আগে আয়ারল্যান্ড লড়াইয়ের পুঁজি পায় হ্যারি টেক্টরের ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৯ রানে ভর করে। এছাড়া টিম টেক্টর ৩২ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ২৪ রান করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 + twenty =