সমন্বিত ব্যাটিং, বোলিং করে টি২০ সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ

সফরকারী আয়ারল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবল ধোলাই অর্জনের পর দুর্বল বাটিংয়ের পরিণতিতে প্রথম টি২০ ম্যাচে পরাজিত হয়ে থমকে গিয়েছিলো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে দাপুটে জয়ে ২-১ সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে সিরিজ নির্ধারণী দিন রাতের তৃতীয়  ম্যাচের সময় সীমা পরিবর্তন করে দিনে নির্ধারণ করা হয়েছিল।

টস জয়ী আয়ারল্যান্ড প্রথম ব্যাটিং করা আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের আগ্রাসী বোলিংয়ে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায়। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভারে ১১৯/২ করে ৮ উইকেটে ম্যাচ এবং সিরিজ ২-১ সিরিজ জয় করে। আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ টি২০ সিরিজে প্রত্যাশীত এই জয় নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিবে।

যে কোন জয় আনন্দের উৎসবের। বিশেষত নানা কারণে নানা বিতর্কে বিতর্কিত মুহূর্তে থাকা বাংলাদেশের টেস্ট এবং টি ২০ সিরিজ জয় নিঃসন্দেহে স্বস্তির কারণ। আশা করি সিরিজ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য সেরা কম্বিনেশন খুঁজে নেবে।

কাল সফরকারী দল দাপুটে সূচনা করেছিল। অধিনায়ক পল স্টার্লিং (৩৮) আর টিম টেক্টরের (১৭) সক্রিয়তায় ৩.৬ ওভারেই রান ছিল ৩৮। মুষড়ে পড়েনি বাংলাদেশ। শরিফুল, মুস্তাফিজ, মাহেদীর সাঁড়াশি আক্রমণ আর তানজিদ তামিমের (৫ দর্শনীয় ক্যাচ) কোনঠাসা করে ফেলে অতিথি দলকে। বিশেষত মুস্তাফিজ (৩/১১), রিশাদ (৩/২১) কাল ছিল ছন্দে। স্টার্লিং (৩৮) , ডকরেল (১৯), টেক্টর (১৭) ছাড়া আর কেউ উইকেটে স্থিতু হতে পারেনি।

সীমিত টার্গেট তাড়া করায় বাংলাদেশের সূচনা ছিলো উপযোগী। সাইফ হাসান এবং তানজিদ তামিমের ঝড়ো সূচনায় ৩.৬ ওভারে রান ওঠে ৩৮. এর পর দ্রুত সাইফ আর অধিনায়ক লিটন ফিরে গেলেও তানজিদ তামিম (৩৬ বলে অপরাজিত ৫৫) আর পারভেজ ইমন (২৬ বলে অপরাজিত ৩৩) বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় এনে দেয়। বাংলাদেশ ২-১ সিরিজ জয় করে।

অপরাজিত ৫৩ রান এবং ৫ ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড করে তানজিদ তামিম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বিবেচিত হন।

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরিজ জয় কাঙ্খিত ছিল। বিশেষ করে এই জয় আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে সন্দেহ নেই। দেশের ক্রিকেটে বিদ্যমান বর্তমান অসহিষ্ণুতা কিছুটা প্রশমিত হবে সন্দেহ নেই। তবে বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। সেখানে কাঙ্খিত ফল অর্জন করতে হলে স্কোয়াড নির্বাচন এবং প্রতি ম্যাচে একাদশ নির্বাচনে বাংলাদেশকে অনেক যত্নবান হতে হবে।

সন্তোষের বিষয় বাটিংয়ে কিছুটা ধারাবাহিকতা এসেছে, বোলিং দক্ষতা পর্যাপ্ত, ফিল্ডিংয়ে উন্নতির ছাপ দৃশ্যমান। নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বলে আশ্বস্ত হওয়া যেতেই পারে।

বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড টি২০ সিরিজ

তৃতীয় ম্যাচ, সার্জেন্ট জহুরুল হক বীরবিক্রম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম

আয়ারল্যান্ড ১১৭ অল আউট (পল স্টার্লিং ৩৮, গৰ্জ ডকরেল ১৯, টিম টেক্টর ১৭, মুস্তাফিজুর রহমান ৩/১১, রিশাদ হোসেন ৩/২১, শরিফুল ইসলাম ২/২১)

বাংলাদেশ ১১৯/২ (তানজিদ তামিম ৫৩*, পারভেজ ইমন ৩৩*, সাইফ হাসান ১৯)

বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ ২-১ সিরিজ জয়।

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তানজিদ তামিম (৫৩* রান আর ৫ ক্যাচ)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen + six =